তৃতীয় হয়ে খুশি বাংলাদেশ দলের কোচ
শ্রীলংকাকে তিন উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। তাই দলের এমন অর্জনে দারুণ খুশি দলের প্রধান কোচ মিজানুর রহামান বাবুল।
শনিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, ‘দলের ফলাফলে আমি দারুণ খুশি। আজকে আমাদের দেড় বছরের কষ্টের একটা সুন্দর সমাপ্তি হলো।’ তবে ফাইনালে খেলতে পারলে আরও বেশি খুশি হতেন কোচ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবারই ফাইনাল খেলার আশা ছিল, আর এ আশা তৈরি করেছিল ছেলেরাই। আশা ছিল ইনশাল্লাহ আমরা কাপও জিতবো। ছেলেরা এ দেড় বছর বিভিন্ন জায়গায় খেলে এটা তৈরি করেছিল। হয়তো আমরা পারিনি। গতদিনটা আমাদের ছিল না’
আগের ম্যাচের হারের পর কী প্রভাব পড়েছিল? জানতে চাইলে কোচ বলেন, ‘সেমিফাইনালে হেরে ছেলেরা মুষড়ে পরেছিল। কান্নাকাটি করেছে। সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে অনেক কষ্ট কয়েছে। যেহেতু সব বাচ্চা ছেলে-পেলে। তাদের সাথে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে, মজা করতে হয়েছে। গল্প করতে হয়েছে। হাসি মুখ ফিরিয়ে আনতে অনেক কষ্ট হয়েছে এবং শেষে ওদের ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছিল যে আমরা শেষদিনের প্রতিশোধ নিব। একটা চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল যাতে আমরা হাসিমুখে ঘরে ফিরে যেতে পারি। গত দেড় বছর আমরা অনেক কষ্ট করেছি। শেষ ম্যাচে যদি হাসতে না পারি। তাহলে পূর্ণতা পাবে না এবং ছেলেরা তা করতে পেরেছে।’
মিরাজদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কি বলেছিলেন জানতে চাইলে কোচ বলেন, ‘আমরা ওদের ম্যাসেজ দিয়েছি, যা আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের বলছেন যে দেশের সবাই খুশি। এর আগে কেউ সেমিফাইনালে খেলেনি। তোমাদের অর্জনে সবাই খুশি। এটা বলার পর ওরা অনেকটা শান্ত হয়েছে এবং আজকের ম্যাচে খেলার মনোবল ফিরে পেয়েছে।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৬ সালে মুশফিকুর রহীমের নেতৃত্বে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। এরপর এবার মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে তৃতীয় হলো বাংলাদেশ।
আরটি/আইএইচএস/এবিএস