স্লোগানে বিরক্ত হয়ে মির্জা আব্বাস বললেন, ‘ধুত্তরি থামো না ভাই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস/ ফাইল ছবি

নেতাদের বক্তব্যের আগে কর্মীরা স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন- এটা রাজনীতির একটা সৌন্দর্য। তবে সেই স্লোগান যদি মাত্রাতিরিক্ত বা বিশৃঙ্খল হয় সেখানেই বিপত্তি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখা গেলো এমন চিত্র। স্লোগানে বিরক্ত হয়ে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেই ফেললেন, ‘ধুত্তরি থামো না ভাই’।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডায়াসে এলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগান শুরু করেন। নেতাকর্মীদের স্লোগান থামতে বলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তোমরা শেষ করলে আমি শুরু করবো। থামো, থামো। আরে ভাই একটু থামো না। সময় নাই, দুজন বক্তব্য দেবেন। ধুত্তরি থামো না ভাই।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আচ্ছা তোমাদের বলি, পাবলিক মিটিং রাস্তায় যেটা করি আর আলোচনা সভার মধ্যে তফাৎ আছে কি না?' এ সময় নেতাকর্মীরা ‘হ্যাঁ' বলে উঠলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তাহলে যখন-তখন স্লোগান দাও কেন?’ এসময় মির্জা আব্বাস বক্তব্য দিতে থাকলে তারা কিছুক্ষণ পর থেমে যান।

সভার প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্যের জন্য ডায়াসে এলে যথারীতি নেতাকর্মীদের স্লোগান শুরু হয়। এসময় তাদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শেষ করো, শেষ করো, ধন্যবাদ।’ তাতেও তারা না থামলে সভার সঞ্চালক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি খন্দকার মোশাররফের কাছ থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বলেন, ‘প্রধান অতিথি বক্তব্য দিচ্ছেন। প্লিজ স্যার শেষ করেন।’

এরপর সভার সভাপতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্যের জন্য ডায়াসে এলেন, তখনও যথারীতি স্লোগান চলছিল। এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো অনুগ্রহ করে স্লোগান দেবেন না। সময় নেই দু-চারটি কথা বলে শেষ করবো।’ এরপর মির্জা ফখরুল বক্তব্য খানিকটা এগিয়ে নিলে তারা থেমে যান।

কেএইচ/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।