রোজার পর কড়ায়-গন্ডায় পাওনা আদায় করবো: মান্না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রোজার মধ্যে বিরাট করে আন্দোলনের কর্মসূচি হয়তো আমরা বড় দেবো না। কিন্তু আন্দোলনের এ বাতাসে ধীরে ধীরে আরও বাতাস দিতে থাকবো, চাঙা করতে থাকবো, যাতে রোজার পর আমাদের পাওনা কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিতে পারি। সে পরিকল্পনা আমরা করছি। আমরা সবার সমর্থন চাই। দেশে-বিদেশে যারা আছেন সবার সমর্থন চাই।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নির্দলীয় সরকারের দাবিসহ ১০ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চের’ ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর তারা বিজয় নগর সড়ক পর্যন্ত মিছিল করেন।

সমাবেশে মান্না বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। যে সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে, এ সিন্ডিকেটেই ভূত আছে। এ সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট, ভোট ডাকাতির সিন্ডিকেট, লুটপাটের সিন্ডিকেট, জনগণের ওপর নির্যাতন করার সিন্ডিকেট। আর তাদের সিন্ডিকেটের শাখা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অথবা সুবিধামতো জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য নিজেদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া। এজন্য আমরা খুব স্পষ্ট কণ্ঠেই বলতে চাই, এর বিরুদ্ধে লড়াইটাই চূড়ান্ত।

আরও পড়ুন>> সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে: ফরহাদ

এসময় জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন রমজান মাসে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আসন্ন রমজানে আন্দোলনকে সংগঠিত করার জন্য, বেগবান করার জন্য জোরদার করার জন্য গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা, বৈঠক, কর্মীসভা অব্যাবহত রাখবো। গণতন্ত্র মঞ্চের সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবো।



বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমাদের তিস্তা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুইটা খাল কেটে আবার সেখানে পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এতদিন পার হয়ে গেলো, সরকার এত নতজানু যে, এ পর্যন্ত ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটা সাধারণ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে এমনি তিস্তায় পানি থাকে না। প্রধানমন্ত্রী দুইবার ভারত সফর করলেন, তিস্তার পানি আনতে পারেননি। উল্টো ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারে উনি চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন। এখন শুনেছি ধরলা নদী থেকে ভারত আবার নতুন করে পানি প্রত্যাহার করবে। এরা (সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে ভারতকে তোয়াজ করছে পানির জন্য। মাঝে মধ্যে দিল্লি-কলকাতাতে বেনারসি শাড়ি পাঠায়, আমের সময় আম পাঠায়, ইলিশ মাছের সময় ইলিশ পাঠায়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এসব করে বাংলাদেশ পানি আনতে পারেনি। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমরা আমাদের দেশ, আমাদের জনপদ, আমাদের পানি সম্পদসহ কোনো কিছুকে রক্ষা করতে পারবো না।

বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের পান্ডারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ তছনছ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আর সুপ্রিম কোর্ট নেই। এটা এখন আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধে গড়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন>> নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ আসনও পাবে না

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রলীগ (রব) সভাপতি তৌফিক উজ-জামান পীরাচার সঞ্চালনায় সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।