ভিসানীতি নিয়ে বিএনপির লাফালাফি বেড়েছে: আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মার্কিন ভিসানীতি ও স্যাংশন নিয়ে বিএনপির আস্ফালন ও লাফালাফি বেড়েছে। আমরা এটাও জানি মার্কিন ভিসানীতি ও স্যাংশন বিএনপির জন্যই বুমেরাং হবে। কারণ আওয়ামী লীগ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। বিএনপি জামায়াত জনগণের দল নয়, তাই তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে নগরীর কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজ সংলগ্ন দৌলতশাহী কনভেনশন হলে ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনিও একটি নির্বাচনকালীন সরকার চান এবং তার নেতৃত্বে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে একটি ছোট আকারের সরকার গঠন করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এটাও সত্য যে, বিএনপি ও জামায়াত এ সংসদে নেই। তাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। এটা তারা বুঝেন ও জানেন বলেই বিভ্রান্তি ও মিথ্যাচার করে জনগণকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। তারা আন্দোলনের কথা বলছেন, কিন্তু মাঠে আন্দোলন কই? বক্তৃতা ও বিবৃতি ছাড়া তারা আর কী করছে? সেটা সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী বছর প্রথম মাসের শুরুতে যেকোনো সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমাদের রাজপথেও থাকতে হবে এবং নির্বাচনী ময়দানেও থাকতে হবে। এখন থেকে আর সময়ক্ষেপণ না করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে কি অর্জন ও সাফল্য এসেছে তা পৌঁছে দিতে হবে। এটা করতে পারলে কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের বিজয়কে রুঁখতে পারবে না।

জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাদা কাজী মালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় উদ্বোধক ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম ফারুক।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, মহব্বত আলী খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান, কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, ইউনিট আওয়ামী লীগের মো. হানিফ, নুরুল আলম নুরু, লোকমান হাকিম কুতুবি।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মো. মাঈনুদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এমডিআইএইচ/এমএএইচ/এএসএম