‘সরকার কুইক রেন্টাল দিয়ে কুইক লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তার আজ্ঞাবহদের কুইক রেন্টাল দিয়ে কুইক লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কোটি কোটি টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
শনিবার (১০ জুন) নগরীর চৌমুহনী মোড়ে ডবলমুরিং, সদরঘাট ও ইপিজেড মোড়ে বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে ১৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করা উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক প্রচারপত্র বিলি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্ম জানে না ভোট কী জিনিস: ডা. শাহাদাত
ডা. শাহাদাত বলেন, সরকার আইন করে তার আজ্ঞাবহদের দায়মুক্তিও দিয়েছে। এসব কারণে দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। অথচ বিশ্ববাজারে কয়লা, গ্যাসসহ জ্বালানি তেলের দাম কমলেও টাকার অভাবে কয়লা, এলএনজি গ্যাস, ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে পারছে না সরকার। যার ফলে পায়রাসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
‘প্রচণ্ড দাবদাহে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে জনজীবন নাকাল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যতই দায়মুক্তি দিক না কেন, জনগণের অর্থ লুটপাটের জন্য একদিন সবার বিচার হবে।’
তার মতে, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ হবে সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী। সমগ্র দেশবাসী বর্তমান সরকার দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, পেশাজীবী সবাই এ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত। কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সব জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন।
আরও পড়ুন: দুবার প্রতারণার শিকার হয়েছি আর নয়, সংলাপ নিয়ে ফখরুল
‘আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী বসবাসের উপযোগী হিসেবে নির্মাণ করতে চাই।’
গ্রাম-শহর সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবি জানান ডা. শাহাদাত হোসেন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সবাইকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরে কাজীর দেউরীর মোড়ে দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ও তরুন বিএনপি নেতা ইস্রাফিল খসরু বলেন, বিদ্যুৎ সংকটের মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে পুরোটাই হচ্ছে লুটপাটের।
আরও পড়ুন: সংলাপের আশার প্রদীপ নেভেনি: কাদের
‘বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশের প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে জাবাবদিহিতা থাকে না। দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার একমাত্র পথ হলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি ক্ষমতাসীনদের মধ্যে কাঁপন তৈরি করেছে: মান্না
কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ আরও অনেকে।
ইকবাল হোসেন/এসএএইচ