রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয় বিএনপি-জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ এএম, ১০ জুলাই ২০২৩

দেশের জনগণের কাছে ধর্না না দিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতারা রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্না দেয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসস আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো যোগাযোগ নেই

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধর্না দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে না গিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্না দেন। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা।

তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে ধর্না দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশের জনগণকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা এবং বিদেশিদের কাছে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় অনুনয়-বিনয় করা।

ড. হাছান বলেন, আমাদের ভেতরে যদি রাজনৈতিক মতদ্বৈধতা থাকে, মতবিরোধ থাকে সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে যাওয়া তো দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এ কাজটি বিএনপিসহ তার মিত্ররা করছে। তাদের বক্তব্য খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন- এ চার বিষয়ে সীমাবদ্ধ। জনগণের কোনো বিষয়াদি তাদের বক্তব্যে নেই। খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়লো কি বাড়লো না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, এসব নিয়েই বিএনপি নেতারা ব্যস্ত। জনগণকে নিয়ে তাদের কোনো ব্যস্ততা নেই।

আরও পড়ুন: বিএনপির ‘বি টিম’ জামায়াত: ওবায়দুল কাদের

তিনি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে করেছে তা শুধু দেশের জন্য নয়, উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। কদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপির ওপর চপেটাঘাত। কারণ, বিএনপি এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো করেইনি, বরং তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উসকে দিয়েছিল নির্বাচন বর্জন করার জন্য। তবে তাদের আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। প্রায় ৫০ শতাংশ কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি ভোট পড়েছে। এটি বিএনপির ওপর চপেটাঘাত। এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, কিন্তু জনগণ বর্জন করবে না।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ‘তৃণমূলের নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ তাদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে আগামী নির্বানে ব্যাপকভাবে অংশ নেওয়ার দায়িত্ব নিতে বলেন।

আরও পড়ুন: ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে খেলা করছে

তিনি বলেন, নির্বাচনী গণতন্ত্রে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না সেটিই হচ্ছে মুখ্য। তবে আগামী নির্বাচনে আমরা চাই অবশ্যই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক।

যারা দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত, দেশের সম্মানহানি করে বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে তাদের বর্জন করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

আইএইচআর/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।