ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতার হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মিশকাত হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ নেতার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিশকাত হোসেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং মাস্টার দা’সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের শিক্ষা বিষয়ক উপ-সম্পাদক। এর আগেও এই ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকার অপরাধে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। মিশকাত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজনের অনুসারী।
ভূক্তভোগীর সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী টিউশনি করাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক এলাকায় আসেন। টিউশনি শেষে নিজ হলে (কুয়েত-মৈত্রী) ফেরার পথে মল চত্ত্বরে ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে মিসকাত বাজে মন্তব্য করে। এসময় ওই ছাত্রী বিষয়টির প্রতিবাদ করলে মিসকাত তাকে শারীরিভাবে লাঞ্ছিত করে। এক পযার্য়ে আশপাশের লোকজন বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসলে মিসকাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম এ আমজাদ বলেন, শনিবার ওই ছাত্রী মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাকে ওই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
তবে ঘটনাটির অস্বীকার করে মিসকাত হোসেন বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমি কয়েকদিন যাবৎ অসুস্থ। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ক্যাম্পাসে নিয়োজিত একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদক ফোন করলে মিশকাত তাকে হুমকি দেন।
মুঠোফোনে মিশকাত এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা কার কাছ থেকে শুনেছেন, ভূক্তভোগীকে আমার সামনে নিয়ে আসেন, আপনি এখন কোথায় আছেন?’ বলে হুমকিমূলক কথাবার্তাও বলেন।
জনাতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একজন সাংবাদিক প্রয়োজনে যেকোন তথ্যের জন্য এ ধরণের কথাবার্তা বলতে পারেন। তবে বিষয়টি নিয়ে হুমকি দেয়ারতো কিছু দেখি না। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান।
এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি