মীর জাফরদের কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে : খালেদা


প্রকাশিত: ০২:৫২ এএম, ২০ মার্চ ২০১৬

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে বেঈমান ও মীর জাফর আছে। এদের কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।   

শনিবার রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি  এ কথা জানান।  

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া কর্ম অধিবেশনটি চলে টানা পাঁচ ঘণ্টা। মিলনায়তনে তিন হাজার কাউন্সিলরের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মিলনায়তনের বাইরেও তা সম্প্রসারণ করা হয়। সেখানে বড় পর্দার মাধ্যমে অনুষ্ঠান দেখানো হয়।

এর আগে, সকালে বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।   

ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতায় বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন,  জেলা-উপজেলায় ব্যাপকভাবে আন্দোলন হয়েছে। অথচ ঢাকায় সেই তুলনায় কিছুই হয় নি। ঢাকায় আন্দোলন হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো।  

দলে যোগ্য ও পরীক্ষিতদের জায়গা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১/১১’র সময় কিছু বেঈমান বিএনপিতে ঢুকেছিল। এখনো বিএনপিতে বেঈমান, মীর জাফর আছে। তাদের কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে। আন্দোলন যখন তুঙ্গে ওঠে তখন তারা বেঈমানি করে আন্দোলন ফলপ্রসূ হতে দেয় না।
তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, কমিটিতে বেঈমানদের রাখবেন না। বেঈমান মীর জাফরদের বাদ দিলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। অনেকে বিএনপিতে আসতে চায়। সুতরাং লোকের অভাব হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন এবং তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে  দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কেঁদেছেন। কেঁদেছেন এ কারণে যে, ছেলে অপকর্ম করবে, আর তার দায়ভার আরেকজনের ওপর বর্তাবে! চোখের পানি আসা স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়েই ভবিষ্যতে নির্বাচন হবে। হাসিনা মার্কা নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। হাসিনা মার্কা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, গিয়েও লাভ হবে না। তাই এখন থেকেই কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অপপ্রচার চালায়, বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কাউন্সিলে কাউন্সিলর, ডেলিগেটস ও নেতা-কর্মিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।

২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ দল আমাদের সঙ্গে আছে। কর্মসূচি ডাকলে তারা আসে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মসূচিও পালন করে। তাই ২০ দলীয় জোটকেই একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে।

পরে খালেদা জিয়াসহ কাউন্সিলরা বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এমএম/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।