আওয়ামী লীগের সামনে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: নসরুল হামিদ

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না মন্তব্য করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নামে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তবে, এ আতঙ্ক তৈরি করে কোনো লাভ হবে না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের সামনে কোনো বাধা, কোনো ষড়যন্ত্রই টিকবে না। যতই বিদেশিদের কাছে নালিশ করুক। যদি জনপ্রিয়তা না থাকে, মাঠে যদি তারা না থাকে, জনগণ কখনো তাদের পক্ষে রায় দেবে না।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিউয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের রায় পেতে হলে তাদের পাশে থাকতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে হবে। বিএনপি গত ১৫ বছরে এমন কোনোই কার্যক্রম করে নেই যার জন্য মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। বিএনপি কখনো মানুষের পাশে ছিল না। করোনার সময়ও পাশে ছিল না। কোনো দুর্যোগে, বিপদে-আপদে পাশে ছিল না। সবসময় তারা ধ্বংসের রাজনীতি করেছে।
কেরানীগঞ্জের উন্নয়ন তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, কেরানীগঞ্জ এক সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরেও কেরানীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোট বা সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলো কোন উন্নয়ন করেনি। একারণে কেরানীগঞ্জকে বলা হতো বাতির নিচে অন্ধকার। বিগত সরকারগুলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা ছিল না। বিগত সরকারগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছিল এ এলাকার নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের সাধারণ চলাচল, নিরাপত্তার মত বিষয়গুলো হয়ে পড়েছিল কঠিন। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির। মানুষের মনোবল ভেঙে পড়েছিল। আমানউল্লাহ আমানের সময় এ এলাকায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল সাধারণ ব্যাপার। আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর প্রায় সাড়ে ৪শ'র বেশি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ছিল সেই মামলার আসামি। আমরা সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশা করছিলাম।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনবদলের ইশতেহার দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে আমরা সেখান থেকে পরিত্রাণ পাই। বিগত প্রায় ১৫ বছরে কেরানীগঞ্জের কেউ বলতে পারবে না এখানে কোন রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে, সন্ত্রাস হয়েছে বা মিথ্যা মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক সহঅবস্থান বা এলাকার শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের করণীয় সব কিছুই করেছি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা একটা কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, মানুষের মধ্যে যে ভয়, আতঙ্ক ও সংশয় ছিল সেগুলো দূর করেছি। তাদের হারানো সাহস ও মনোবল ফিরিয়ে এনেছি। আমরা রাজনৈতিকভাবে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেইনি। সকল মানুষের সাহস ও মনোবল ফিরিয়ে আনতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করেছি।
দলের অবস্থার বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের এলাকায় দলীয় সংগঠন খুবই ঐক্যবদ্ধ ও সু-সংগঠিত। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালো বলতে পারেন। কেরানীগঞ্জের সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট উৎসব করতে মুখিয়ে আছে।
শুভাড্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী বাশের উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন। এছাড়া ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএএইচ/