এখন ডিসি-এসপিরা নৌকার পক্ষে ভোট চায়: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন ডিসি-এসপিরা নৌকার পক্ষে ভোট চান। তারা কাউকে পছন্দ করতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না। কারণ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন ডিসি। তাহলে কীভাবে একজন ডিসি নৌকার পক্ষ ভোট চান? শেখ হাসিনার আগামী নির্বাচন যে একতরফা ও গণবিরোধী হবে তার নমুনা এখনই ফুটে উঠেছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ওলামা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে তরবারি উপহার দেওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী অস্ত্রদাতা বা গ্রহীতার সাঁজা হবে। আমরা কয়েকদিন আগে দেখলাম, ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তিনি তরবারি দিচ্ছেন দেশের যিনি আইনের অভিভাবক প্রধান বিচারপতি তাকে। এই যে তরবারি দিয়েছেন তার কি কোনো লাইসেন্স আছে? এর নূন্যতম সাঁজা সাত বছর কারাদণ্ড।

রিজভী আরও বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে সে সময় ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি অস্ত্র দিয়েছিলেন। যা তার বাসায় ছিল। এর কারণে এরশাদের সাঁজা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। এই যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান তিনি যে তরবারি দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতিকে এটা কোন আইনে দিলেন? আসলে তারা দেশের আইনকানুন তোয়াক্কা করেন না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পৃথিবীতে কোনো দৃষ্টান্ত আছে এ ধরনের ঘটনার, যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান যিনি দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি দিচ্ছেন। প্রধান বিচারপতি যিনি থাকেন ন্যায়বিচার করার জন্য নীরবে। যাতে কেউ তাকে পক্ষপাতিত্বের দিকে না নিতে পারেন সেটাই হচ্ছে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী কত অন্যায় কথা, কত ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্পর্কে। অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর একটিও প্রমাণ করতে পারেননি। কিন্তু তারপরও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেখ হাসিনা এবং তাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়নি।

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের দাবি, সরকার তাকে মুক্তি দেবে। তিনি যেখানে উন্নত চিকিৎসা চান, নাগরিক অধিকার হিসেবে সেই দাবি পূরণ করবে।

এসময় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা প্রমুখ।

কেএইচ/জেডএইচ/এএসএম