গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে ‘লাঠিপেটা’, পুলিশ বললো সরিয়ে দিয়েছি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘ব্যাংক লোপাট’ ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলেও গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে ‘লাঠিপেটা’, পুলিশ বললো সরিয়ে দিয়েছি

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঞ্চের নেতাকর্মীরা এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন তারা। জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়েন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওনাদের কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দেই।

এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান শাহ আলম। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন বা তাদের নাম-পরিচয় কী সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে ‘লাঠিপেটা’, পুলিশ বললো সরিয়ে দিয়েছি

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দেশের ভবিষ্যৎ বিদেশে নষ্ট করছে। জনগণকে ঠিক করতে হবে এ সরকার থাকবে কী থাকবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যত রকম চুরি আছে সব করছে। আমদানিনির্ভর জ্বালানি থেকে বের হবে না। চুরি করতে হবে। রাজপথে নামুন।

সাইফুল হক বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে অনিয়মের দায় জনগণ কেন নেবে? জনগণ ভোট বর্জন করায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের দাম যত কমছে জিনিসপত্রের দাম তত বাড়ছে। সিন্ডিকেট সরকার একাকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমলারা কথা শোনে না। ‘যা খুশি তাই করো’ এমন লাইসেন্স দেওয়া হয়ছে। পাচারের টাকা বিদেশে জুয়ার টেবিলে উড়ছে। সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে ব্যাংকে টাকা নেই, ডলারও নেই। অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পরেনি। চাল-পেঁয়াজের দাম কত? লোন পেতে হাত-পা ধরতে শুরু করেছে। রিজার্ভে টাকা নেই। অপতথ্য সরকার থেকে বেশি দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ডুবতে শুরু করেছে। রোজায় দাম কমাতে পারবে না সরকার। ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে খেলা হলো। ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো। গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করে যাবে।

কেএইচ/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।