এবি পার্টির চেয়ারম্যান হলেন মঞ্জু, সম্পাদক ফুয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

আগামী তিন বছরের জন্য আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আয়োজন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি। কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

এতে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান ভুঁইয়া মঞ্জু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী পেয়েছেন ২১১ ভোট, আর দিদারুল আলম পেয়েছেন ৩৩ ভোট।

এর আগে শুক্রবার চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের পর রাতে জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভোটার ছিলেন গত মাসের শেষে নির্বাচিত এবি পার্টির নির্বাহী কমিটির ২১ সদস্য। তবে জেনারেল সেক্রেটারি পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। শনিবার চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদের ফলাফল ঘোষণার পাশাপাশি ২১ জন নির্বাহী পরিষদ সদস্যেরও নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দলটির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ হয়। সারাদেশের কাউন্সিলররা সেখানে ভোট দেন। প্রবাসী ও অসুস্থ কাউন্সিলররা ভোট দেন অনলাইনে।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান ভুঁইয়া মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। মোট ২ হাজার ৮০৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে ৪৫টি ভোট বাতিল হয়।

এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

উদ্বোধনের পরেই স্বাগত বক্তব্য দেন এবি পার্টির আহ্বায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। তিনি পার্টি গঠনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আজকের কাউন্সিলে উপস্থিত নেতাকর্মী ভাই ও বোনেরাই আমাদের দলকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। সব নেতাকর্মী ও উপস্থিত সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এবি পার্টির কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি‌। নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। এটা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছি। আমাদের কোনো বিভেদ নেই। তবে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা পারবে না। আমরা এগিয়ে যাবো। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিই।

তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারেই সমর্থন করছি। তবে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না, রাজনৈতিক অবস্থাও ভঙ্গুর। আমরা সংস্কার চাই না, এটা ভুল। আমরা সংস্কারও চাই, দ্রুত নির্বাচনও চাই। কারণ নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, এলডিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান।

শহীদ পরিবারের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা রাখি। আহতদের মধ্যে বক্তব্য দেন আসিফ আদনান।

উপস্থিত ছিলেন শহীদ বাপ্পীর বোন, উমায়মা আহমেদ, মা, সুরাইয়া বেবি, শহীদ সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার, শহীদ তামিমির বাবা মান্নান হোসেইন, শহীদ ফজলুর স্ত্রী সুরাইয়া, শহীদ জিসানের মা জেসমিন আক্তার, শহীদ বোরহানের ভাই আমানত উল্লাহ বাবুল, যাত্রাবাড়ীতে আহত মেহেদী হাসান শুভসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এএএম/এমআরএম/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।