শেখ পরিবারের বলেই দুর্নীতিতে টিউলিপ: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভী

টিউলিপ সিদ্দিকের রক্ত শেখ পরিবারের। তাই যুক্তরাজ্যের এমপি হওয়ার পরেও টিউলিপ সিদ্দিকী দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বড় হয়েছে লেখাপড়া করেছে। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরেও তার জেনেটিকাল যে লাইন সেই লাইন সে ক্রস করতে পারেনি। আর করতে পারেনি বলেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো, দুর্নীতির প্রমাণগুলো এখন বেরিয়ে আসছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এটিএম খালেদের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে ৫০০ কোটি ডলার শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার ভাগ্নি ইংল্যান্ডের এমপি টিউলিপ ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটা একদম সুস্পষ্টভাবে গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমানিত করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির শীর্ষ এই নেতা। তার মতে, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। রিজভীর দাবি, তারা মনে করতো তাদের রাজনীতির বাইরে গেলেই সবাই অপরাধী।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে।

এ সময় ভারত কী কারণে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দুইটা পাসপোর্ট, দুইটাই বাতিল হয়েছে। তারপরও ভারত তাকে রাখে কীভাবে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ ছাত্র-জনতা হত্যাকারী, তাকে ভারত রাখে কীভাবে?

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে-ভাগ্নেদের কন্ট্রোল করতে পারে নাই। জাহানারা ইমাম শেখ হাসিনার কাছের লোক ছিলেন। তিনি এসব বলে গেছেন। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করতো, উন্নয়নের মধ্যে দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কি তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন। লুটপাট করেছেন।

এটিএম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, এত দিন হয়ে গেল। তাদের বিচার এখনো হয়নি কেন? এ দায় আপনাদের কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তার হত্যার বিচার হলো না, এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।

কৃষিবিদ ডক্টর রাশেদুল হাসান হারুন ও ডক্টর জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামিম, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কেএইচ/এএমএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।