ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন
সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও শান্তি রক্ষার মূল শর্ত হলো পাপ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কিন্তু দুঃখজনকভাবে যখন মানুষ অন্যায়ের প্রতি উদাসীন থাকে, কিংবা তা সহ্য করে বা প্রশ্রয় দেয়, তখনই শুরু হয় অস্থিরতা ও অবক্ষয়। ধীরে ধীরে এই উদাসীনতা ছড়িয়ে পড়ে পরিবার থেকে জাতি পর্যন্ত।
যখন ব্যক্তি কিংবা সমাজ সঠিক-ভুলের পার্থক্য ভুলে যায়, তখন সামাজিক অবক্ষয়ের গতি বাড়তে থাকে। এতে শুধু একটি প্রজন্ম নয়, পুরো জাতিই বিপদের মুখে পড়ে।
ধর্মীয় শিক্ষায়ও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— পাপ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে আল্লাহর রহমত ও বরকত হ্রাস পায়। ইসলামের আলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও পাপ থেকে দূরে থাকা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত।
সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানী দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে। যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষ যখন কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)
পাপ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোই সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণময় সমাজ গড়ার একমাত্র পথ। সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একটা সমাজে অপরাধ তখনই বেড়ে যায়, যখন অপরাধী বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়।
সত্যি হলো, যত দিন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন হবে না, তত দিন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সুদূরপরাহত।
এমআরএম/জেআইএম