কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধ
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারকে ধন্যবাদ ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ বন্ধে সম্মত হয়েছে। এ উদ্যোগে সহায়তার জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শনিবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুলের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, তারা আজ রাত থেকেই সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে এবং আমার ও তাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত মূল শান্তিচুক্তিতে ফিরে যেতে সম্মত হয়েছে। যা বাস্তবায়নে অসাধারণ সহায়তা দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
তিনি আরও বলেন, দুই শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ হওয়ার যোগ্য দেশের মধ্যে বড়ো ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা নিরসনে অনুতিন ও হুন মানেতের সঙ্গে কাজ করতে পারা তার জন্য সম্মানের। একই সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগে আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, উভয় দেশই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সীমান্ত সংঘাত নিয়ে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আনোয়ার বলেন, আমি সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে মালয়েশিয়ার ভূমিকা তুলে ধরেছি। যার মধ্যে উভয় দেশকে সংযম দেখাতে এবং সংলাপ ও দ্বিপক্ষীয় ও আসিয়ান কাঠামোর মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান রয়েছে।
আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে মালয়েশিয়া শিগগিরই আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বিশেষ বৈঠক আহ্বান করবে বলে জানান আনোয়ার। ওই বৈঠকে পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত জুলাইয়ে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আবারও উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং টানা পাঁচ দিন সামরিক সংঘর্ষ চলে। পরে ২৪ জুলাই কুয়ালালামপুরে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৬ অক্টোবর আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কুয়ালালামপুর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা আনোয়ার ইব্রাহিম ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং হাজারো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।
এমআরএম/জেআইএম