গানের মাস্টার প্রীতম হাসান

প্রবাসে আসার পর থেকেই বাংলাদেশের গান, নাটক এবং ছবি ইউটিউবে দেখা হয়। এমনই একদিন ইউটিউব ঘুরতে ঘুরতে সামনে এসে পড়লো একটা গান। ‘আসো মামা হে’ শিরোনামের সেই গান দুই প্রজন্মের দুজন মিলে পরিবেশন করছিলেন। আমাদের প্রজন্ম কুদ্দুস বয়াতিকে খুব ভালোভাবেই চিনি। তার প্রসঙ্গ আসলেই বাবরি দুলিয়ে গাওয়া ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে, এই দিনেরে নিবা তোমরা সেই দিনেরও কাছে’ গানটার কথা মনেপড়ে।
তিনি বাবরি দুলিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে নেচে নেচে এই গান করে যাচ্ছেন আর তার পেছনে একদল শিশু দৌড়ে দৌড়ে স্কুলে যাচ্ছে। যতদূর মনে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য হুমায়ূন আহমেদের কথায় এই বাঁধা হয়েছিল। এরপর এই গান বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছে। এই গান ইউটিউবে বেজে ওঠার সাথে সাথে আমাদের সদ্য হাঁটতে শেখা দেড় বছরের ছেলে দাঁড়িয়ে তালে তালে নাচতে শুরু করে দিলো।
আমি দ্রুতই তার এই নাচের ভিডিও করে রাখলাম। এখনো তাকে ঘুরে ফিরে তার নাচের সেইসব ভিডিও দেখাই। সে হেসে কুটিকুটি হয়। সেই থেকে বাসায় আমরা তাকে কুদ্দুস নামে ডাকা শুরু করলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে নামটা দ্রুতই প্রচার পেয়ে গেলো। এখনো অনেকেই দেখা হলে ওকে এই নামে ডাকে। সেটা ছিল ২০১৬ সালের ঘটনা।
আসো মামা হে গানে কুদ্দুস বয়াতির সঙ্গে আরেক কম বয়সী টিংটিঙে গড়নের ছেলে নেচে নেচে গানটা পরিবেশন করেছিল। গানের তথ্য থেকে জানলাম ছেলেটার নাম প্রতীক হাসান। সাথে সাথে আমার মনে পড়ে গেলো খালিদ হাসান মিলুর কথা। আমাদের সময়ের বিনোদন অনুষ্ঠান ইত্যাদি আর সেখানে গান গাওয়া খালিদ হাসান মিলু ছিল পরিচিত মুখ। তার কথা আরও মনেআছে কারণ উনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।
আমি তখনও অতটা খেয়াল করে তার পাশে বসে থাকা দুইজন শিশুকে খেয়াল করিনি। শিশু দুইজন ছিল প্রতীক হাসান আর প্রীতম হাসান। সেই শিশু আজ কিশোরে রূপান্তর হয়েছে এবং বাংলাদেশের লোকগানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে দিয়ে গান করিয়েছে। আমি বড় হয়েছিলাম ছোটবেলায় গ্রামোফোন রেকর্ডে বাজা আব্দুল আলীম আর আব্বাস উদ্দিনের গান শুনে। পরবর্তীতে মুজিব পরদেশী, মামুন নদীয়া, আশরাফ উদাসের গান শুনেছি।
আমি ভাবতাম তাদের চমৎকার কথার এবং অকৃত্রিম সুরের গানগুলো কি হারিয়ে যাবে। কেউ কী এগুলো রক্ষা করার দায়িত্ব নেবে না। যেন নতুন প্রজন্ম আমাদের গানের এই বিশাল ভাণ্ডারের মণিমাণিক্যের সন্ধান পায়। গান থাকলে আর আমাদের নতুন প্রজন্ম খারাপ পথে পা বাড়াবে না। সরকারিভাবে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখিনি আমাদের লোক সম্পদের এই ভাণ্ডারকে সংরক্ষণ করার। তাই যখন এ যুগের প্রতিনিধি প্রীতম হাসানের গানে আমাদের লোকগানের শিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে দেখলাম তখন আশায় বুক বাঁধলাম।
আসো মামা হে গানটা আমরা কত হাজারবার যে শুনেছি তার কোনো হিসাব নেই। আমরা আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশিদেরও গানটা শুনতে অনুরোধ করতাম। আমি দৃঢ়ভাবে একটা বিষয় বিশ্বাস করি। নতুন প্রজন্মকে শুধু আমাদের শেকড়টা চিনিয়ে দিতে হবে। বাকিটা তাদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তাদের হাতের মুঠোয় আছে গুগল ইউটিউবের মতো হাতিয়ার। তারা খুব সহজেই যেকোনো কিছু খুঁজে বের করতে পারবে।
তারা যখন প্রীতম হাসানের গানে কুদ্দুস বয়াতিকে দেখবে তখন তারা অবশ্যই গুগুল করে কুদ্দুস বয়াতির সব তথ্য পেয়ে যাবে। ইউটিউবে অন্যান্য গানের পাশাপাশি কুদ্দুস বয়াতির গানগুলোও শুনবে দেখবে।
এরপর আসলো ‘লোকাল বাস’ শিরোনামের গানটা। মমতাজকে আমাদের প্রজন্ম খুব ভালোভাবেই চিনি। লোকগানের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাকে নিয়ে এসে গান করানোটাও আমার খুবই ভালো লাগলো। আবারও নতুন আশায় বুক বাঁধলাম। এই গানের বিশেষত্ব হচ্ছে এটা গানের পাশাপাশি যেন একটা ছোট চলচ্চিত্রও। কী সুন্দরভাবে গল্প গানের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। এরপর আমাদের বাসায় লোকাল বাসের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো।
এই গান বাজতে শুরু করলেই আমরা বাপ বেটা বেটি মিলে নাচতে শুরু করে দিই। এরপর আসলো ‘বেয়াইনসাব’ নামের এক গানের ঝড়। এই গানে উপরি হিসেবে আমরা পেলাম জাহিদ হাসানকে। এরপর আমাদের বাসায় এই গানের ঝড় চললো যতদিন না প্রীতম হাসান কোন নতুন ঝড় নিয়ে আসছেন। অবশ্য এর মধ্যে হাবিব ওয়াহিদ ‘ঝড়’ শিরোনামের একটা গান নিয়ে আসলেন। সেটাও আমাদের বাসায় দারুণ প্রচার পেলো। সেই গানগল্পে একটা দৃশ্য আছে এমন। গুলি চালানো হয় তখন গুলির আঘাতে একটা সিলভারের হাড়ি একজনের মাথায় এসে পড়ে। আমাদের কুদ্দুস মিঞার সেই দৃশ্য খুব মনে ধরে গেলো।
এরপর আসলো ‘আইজ আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়া’ শিরোনামের গান। এটাও আমাদের বাসায় অনেক প্রচার পেয়ে গেলো। এই গানের চিত্রায়ণের গুনেই রায়ান বারবার এই গান দেখতে লাগলো। এই গানের একটা দৃশ্যে ঝড় উঠানোর জন্য হাবিব ওয়াহিদকে উপস্থিত করা হয়। এরপর আসলো ‘খোকা’ শিরোনামের গানটা। খোকার দৃশ্যায়ন দেখে একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম রায়ানকে এই দেখানো উচিৎ হবে কি না? কারণ এর মধ্যে একটা দৃশ্য আছে প্লেটের মধ্যে ফুসফুস এসে পড়ে।
কোনো একটা সময় ইউটিউব দেখতে দেখতে সে নিজেই গানটা দেখে ফেলল এবং তার সদ্য শেখা অল্প কথায় আমাদের বললো, বাবা খোকা। আমি তখন বুঝলাম সে নিজে থেকেই খোকা গানটা দেখে ফেলেছে। এরপর গানটা ছেড়ে বললো, বাবা লুক। আমি দেখলাম সেখানে দেখানো হচ্ছে একটা ছেলে ভয়ে পেশাব করে দিচ্ছে। এটা দেখিয়ে রায়ান দাঁত বের করে খিকখিক করে হাসতে থাকলো। আমিও ওর সাথে যোগ দিলাম। আর উপলব্ধি করলাম যে বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি।
এরপর আরও দেখা হলো জাদুকর, বয়স আমার বেশি না, ৭০০ টাকার গান। প্রত্যেকটা গানই আমাদের বাসায় অনেক প্রচার পেল। বয়স আমার বেশি না আমাদের ছোটবেলায় শোনা অন্যতম জনপ্রিয় লোকসংগীত। প্রীতম হাসানের নতুন সংগীতায়োজন যেন গানটাকে নবজীবন দিলো। ৭০০ টাকার গানে যেভাবে দোতারা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা কুষ্টিয়ার মানুষ খুব ছোটবেলা থেকেই একতারা, দোতরা, খঞ্জনী, মন্দিরা, খোল এইসব বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিচিত।
তাই এই প্রজন্মের একজন শিল্পীর গানে দোতারার ব্যবহার দেখে বুঝলাম আমাদের লোকসংগীত হারানোর আর কোনো ভয় নেয়। এই গানে প্রীতম হাসানের সাথে কণ্ঠ দিয়েছেন ফকির শাহাবুদ্দিন। তিনিও লোকগানের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি। এই গানগুলো দেখে জানলাম চমৎকার এইসব গানের চিত্রপরিচালকের কাজগুলো করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। তাকে নিয়ে আলাদাভাবে লিখবো কোনো একদিন। প্রীতম হাসান, নুহাশ হুমায়ূন নতুন প্রজন্মের এইসব প্রতিনিধিদের নিয়ে আমি প্রচন্ডরকম আশাবাদী। কারণ ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার যে সংমিশ্রণ তাদের কাজের মধ্যে দেখছি সেটা খুবই আশা জাগানিয়া।
এরপর আসলো কোক স্টুডিও নামের গানের অনুষ্ঠান। তাদের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রচার করা হলো প্রীতম হাসানের সংগীত আয়োজনে ‘দেওরা’ গানটা। গানটা দেখেই অনেক পুরোনো স্মৃতি মনের কোণে উঁকি দিতে শুরু করলো। আমাদের গ্রামে ‘লতিফের ক্যানাল’ বলে একটা বিশাল খাল ছিল। সেখানে প্রতি বর্ষাকালে আয়োজন করা হতো ‘নৌকাবাইচ’। আমি দাদির শাড়ির আঁচল ধরে সেই নৌকাবাইচ দেখতে যেতাম। সেখানে বিভিন্ন আকারের নৌকা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
নৌকাগুলোকে রঙিন কাগজ দিয়ে বাহারি সাজে সাজানো হতো। মাল্লাদের হাতে থাকতো ছোট ছোট বইঠা। আর মাঝির হাতে থাকতো হাল। সেইসব নৌকায় মাঝি মাল্লাদের পাশাপাশি নৌকার মাঝে একজন লোক দাঁড়িয়ে মাল্লাদের উৎসাহ দিয়ে অবিরাম গান করে চলতেন। মাল্লাদের দাঁড়ের টানে নৌকাগুলো যেন উড়ে চলতো। বাইচ শেষ হবার পর মাইক্রোফোনে পুরস্কার ঘোষণা করা হতো। দেওরা গানটা যতবার দেখি ততবার আমার নৌকাবাইচের কথা মনেপড়ে। তখন মনেমনে প্রীতম হাসানকে ধন্যবাদ দিই আমাদের বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিকে পুনর্জীবন দেওয়ার জন্য।
সর্বশেষ আমাদের তালিকায় যোগ হয়েছে কোক স্টুডিওর সাম্প্রতিক গান ‘মা লো মা’। শনিবার রাত্রে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইউটিউবে গান ছেড়ে দেওয়া আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। গান ছাড়তে যেয়ে দেখি তিন মিনিট আগে কোক স্টুডিওর নতুন গান এসেছে। প্রথম শুনেই এতো ভালো লাগলো যে ঘুম বাদ দিয়ে আরো বেশ কবার শুনলাম। কিন্তু প্রাণ ভরলো না যেন। মনে হচ্ছিল সারারাত জেগে যদি গানটা শুনতে পারতাম।
এই গানের সংগীত আয়োজন আবারও আমাকে স্মৃতিমেদুর করে দিলো। আমাদের পাড়ায় তখন পাকাবাড়ি হাতেগোনা দুই একটা। আমার বন্ধু জানটুদের নতুন ঘর তুলেছে। একদিন সকালে সমবেত নারী কণ্ঠের গানের শব্দ শুনে মাকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কিসের গান? মা বললেন, জানটুদের বাড়ির ছাদে জলছাদ দিচ্ছে। সেখানে নারী শ্রমিকরা এই গান গাইছেন। আমি দৌড়ে ওদের বাড়ির কাছে গিয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম।
একদল নারী খাঁটি হাতে নিয়ে এক লয়ে ছাদে বাড়ি দিচ্ছে আর এই সুর তুলছেন। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ হেলে দুলে সুর ধরিয়ে দিচ্ছেন। তখনকার দিনে জলছাদ বিষয়টা ছিল খুবই পরিচিত। মূল ছাদের ওপরে চুন সুরকির একটা আলাদা আস্তর দেওয়ার বিষয়টাকে বলা হত জলছাদ। এই স্তর ছাদটাকে তাপ কুপরিবাহী করতো। ফলে শীতের সময় ঘর অতিরিক্ত ঠান্ডা হতো না আবার গরমের সময় ঘর অতিরিক্ত গরম হতো না। কিন্তু কালের স্রোতে সেসব এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।
প্রীতম হাসান যেন আমাদের সেই হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনলেন। এইসব গানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে রচনা করা হতো। তাই এসব গানের কোনো নির্দিষ্ট সুর এবং তাল ছিল বলে আমার জানা নেই। আমাদের লোকগানের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তী কাঙালিনী সুফিয়ার এমন হাজার হাজার গান আছে যেটা তিনি মুহূর্তের চাহিদায় মুখে মুখে রচনা করতেন। কিন্তু সেগুলোর কোনো লিখিত রূপ না থাকায় হারিয়ে গেছে। তবুও ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’র মতো কিছু গান উনাকে আমাদের মধ্যে চিরঞ্জীব করে রাখবেন।
বাংলাদেশে মানুষ বেশি তাই কায়িক শ্রমিক অত্যন্ত সুলভ। তারা সকাল বেলায় শহরে এসে ভীড় করেন নিজেদের শ্রম বিক্রি করতে। দেশে থাকতে আমি প্রতিদিন সকালে উত্তরার আজমপুর ওভারব্রিজের নিচে তাদের সমাগম দেখতাম। আমি নিশ্চিৎ যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন থাকবে তার শ্রমিক মানুষেরা আর ততদিন বেঁচে থাকবে এইসব লোক সংগীত। আর প্রীতম হাসান এইবার অপাঙতেয় মানুষদের এই সংগীতকে পৌঁছে দিলেন ভদ্রলোকদের ড্রয়িংরুমে।
এইবার একটা সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করি। গতবছর ডিসেম্বরে দেশে গিয়েছি। তখন পাশের বাসার শ্যালকের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। হলুদের অনুষ্ঠানে একের পর এক বাজানো হচ্ছে প্রীতম হাসানের এইসব গান বিশেষ করে বেয়াইনসাব গানটা বারংবার বাজানো হচ্ছিল। আর তার তালেতালে সবাই নেচে চলেছে। তখন আমার নিজের বিয়ের কথা মনেপড়ে গেলো।
আমাদের হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গান বাজানো হয়েছিল। এমনকি আমাদের বিয়ের যে ভিডিও আছে তাতেও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে আছে সব হিন্দি গান। ব্যাপারটা এমন ছিল যেন আমাদের কোনো গায়ে হলুদের গান, বিয়ের গান নেই। এখন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রীতম হাসানরা আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন আমাদের আসলে সবই আছে। এখন শুধু দরকার সেগুলোর চর্চা।
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম প্রীতম হাসানকে নিয়ে লিখবো কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না। ‘মা লো মা’ গানটা প্রচার হবার পর মনেহলো এইবার উনাকে নিয়ে অবশ্যই লেখা উচিৎ। এই গানে জলছাদ শ্রমিকদের নেতা তার উদ্দেশ্যে একটা লাইন বলেন- কেমন আছেন গানের মাস্টার, সালামও জানাই। উনার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলতে চাই গানের মাস্টার আমাদের এমন আরো অনেক গান উপহার দিয়ে যান। আপনার হাত ধরে আমাদের লোকসংগীতের ঐতিহ্য পুনর্জীবন পাক। শহর এবং গ্রামীণ সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হোক।
এমআরএম/এএসএম