মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে: তুর্ক

ইসমাইল হোসাইন রাসেল
ইসমাইল হোসাইন রাসেল ইসমাইল হোসাইন রাসেল
প্রকাশিত: ০৫:০২ এএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধগুলোর জন্য দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টা) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রগুলোকে জরুরিভাবে মিয়ানমারে অস্ত্রে প্রবাহ বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারের ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোর ওপর একাধিক দেশ এবং একটি আঞ্চলিক সংস্থার আরোপিত লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞাকে আমি স্বাগত জানাই।

তুর্ক বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালত যে অস্থায়ী ব্যবস্থা আরোপ করেছে, তা সম্পূর্ণভাবে মান্য করা জরুরি। একইসঙ্গে সেনাবাহিনী, আরাকান আর্মি এবং অন্যান্য পক্ষের দ্বারা সংঘটিত গুরুতর লঙ্ঘন ও নির্যাতনের জন্য পূর্ণ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

আমি পুনরায় আহ্বান জানাচ্ছি, নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পুরো পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করুক। আমাদের রোহিঙ্গাদের শান্তি ও স্বাধীনতার আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, কাজ করা, নিরাপদে সন্তান পালন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। তারা মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধার ও পূর্ণ স্বীকৃতি পেতে চায়। একইসঙ্গে তারা শান্তি প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠস্বরকে কার্যকরভাবে শোনানো হোক।

তিনি বলেন, সেনা কর্তৃত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের অংশ হতে চায় রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের ভেতরে এবং সীমান্তপারের শরণার্থীনাও যথাযথ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে যেতে চায়। সহিংসতা, চরম দারিদ্র্য এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন গুরুতর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সংকট তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা রোহিঙ্গাদের এবং মিয়ানমারের সকল মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি, যারা তাদের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। তাদের সবচেয়ে গভীর আকাঙ্ক্ষা হলো এমন একটি স্থিতিশীল মিয়ানমার যেখানে সকল সম্প্রদায় বৈষম্য, প্রান্তিকরণ ও ভয়মুক্তভাবে বিকশিত হতে পারে এবং শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে।

আইএইচআর/এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]