বাংলাদেশি শ্রমিকরা আধুনিক মালয়েশিয়ার নীরব নায়ক: তুন্কু হামজাহ

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ এএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫

কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এ প্রধান অতিথি মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিমের ছোট বোন, প্রিন্সেস অব জোহর, তুন্কু হামজাহ মারিয়াম জাহারা বিনতি আলমারহুম সুলতান ইস্কান্দারের বক্তব্যে বিশেষভাবে উঠে এসেছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান ও দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন।

অনুষ্ঠানে তুন্কু হামজাহ মারিয়াম বলেন, নির্মাণশিল্প থেকে রেস্তোরাঁ—বাংলাদেশি শ্রমিকদের ঘামেই আধুনিক মালয়েশিয়ার উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তারা আমাদের নীরব নায়ক।

ফেস্টিভ্যালটি আয়োজন করে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এমবিএফএ) এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন। তুঙ্কু মারিয়ামজ বলেন, এ আয়োজন কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বরং দুই দেশের বন্ধুত্ব, আস্থা ও সহযোগিতার প্রতীক।

তার ভাষায়, এই উৎসব প্রমাণ করছে, আমাদের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি নয় বরং সংস্কৃতি ও মানুষের হৃদয়ের সেতুবন্ধন।

তিনি শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করে উল্লেখ করেন, মালয়েশিয়ার প্রতিদিনের অনেক সুবিধা তাদের শ্রমের ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে।

jagonews24

তিনি বলেন, তাদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম আমাদের গভীর শ্রদ্ধার দাবিদার।

ফেস্টিভ্যালে অংশ নেন উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও শিল্পীরা। তাদের অংশগ্রহণকে তুঙ্কু মারিয়ামজ মালয়েশিয়ার বহুসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় সম্পদ বলে অভিহিত করেন।

অভিভাষণে তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি এখন জানি কোথা থেকে আলু, জামাকাপড় বা এমনকি মোবাইল ফোন সার্ভিসের সমাধান পাওয়া যাবে। পাট শিল্প থেকে আম—সবকিছুতেই বাংলাদেশকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।

তিনি বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও উদ্ভাবনে নতুন সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলুন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই। কারণ প্রতিটি সম্ভাবনার পেছনে রয়েছে প্রকৃত মানুষ—শ্রমিক, উদ্যোক্তা, পরিবার, যাদের অবদান আমাদের শ্রদ্ধার যোগ্য।

বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রাণবন্ত প্রদর্শনীতে বিদেশি অতিথিদেরও আমন্ত্রণ জানান তিনি। বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশের প্রতি তার আন্তরিক ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন—আমি তোমাদের ভালোবাসি।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]