যে আমলের কারণে তার জানাজা পড়েছিলেন সত্তর হাজার ফেরেশতা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

নবিজির (সা.) যুগে এক সাহাবির জানাজায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সত্তর হাজার ফেরেশতা। বর্ণিত হয়েছে, মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া আলমুজানী (রা.) ইন্তেকাল করলে জিবরাইল (আ.) সত্তর হাজার ফেরেশতাসহ নবিজির (সা.) কাছে আসেন এবং তার জানাজা পড়েন।

নামায শেষে নবিজি (সা.) জিবরাইলকে (আ.) জিজ্ঞাসা করলেন, কোন আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া এত উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হলো?

জিবরাইল (আ.) বললেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটেহেঁটে, সওয়ার হয়ে অর্থাৎ সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতো। (মু’জামে কাবির: ৮/১১৬)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবিজির (সা.) প্রশ্নের জবাবে জিবরাইল (আ.) বলেছেন, তার মর্যাদার কারণ হলো, সে সুরা ইখলাসকে ভালোবাসতো এবং চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে সর্বাবস্থায় এ সুরা তিলাওয়াত করতো। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৪২৬৮)

সুরা ইখলাসকে বিভিন্ন হাদিসে এক তৃতীয়াংশ কোরআনের সমান বলা হয়েছে। মাত্র তিন আয়াতের ছোট এ সুরাটি তিলাওয়াত করলে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পাঠের সওয়াব পাওয়া যায়। আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, নবীজী বলেছেন, তোমরা কি প্রতি রাতে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে পারো না?

সাহাবিদের কাছে বিষয়টি কঠিন হলে হলো। তারা বললেন, আমাদের মধ্যে কে আছে, যে এক রাতে এত বেশি পড়তে পারবে?

নবিজি (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসই কোরআনের এক তৃতীয়াংশ। (সহিহ বুখারি: ৫০১৬)

সুরা ইখলাস; উচ্চারণ ও অর্থ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস-সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’

অর্থ: বলো, তিনিই আল্লাহ, এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। তার সমতুল্য কেউ নেই।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।