মাসিক অবস্থায় দ্বীনি বইপত্র যেভাবে পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪
মাসিক অবস্থায় দীনি বইপত্র পড়া যাবে?

মাসিক অবস্থায় দ্বীনি বইপত্র পড় যাবে। কোরআন আয়াত উদ্ধৃত রয়েছে এমন বইপত্রও মাসিক অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে ও পড়া যাবে। তবে কোরআনের আয়াত উচ্চারণ করে পড়া বা স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ

মাসিক অবস্থায় থাকা নারী এবং যাদের উপর গোসল ফরজ তারা কোরআন তিলওয়াত করবে না। (সুনানে তিরমিজি: ১৩১)

মাসিক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা ও উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ হলেও দোয়ার অর্থবহ আয়াত বা সুরা দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ। যেমন দোয়ার নিয়তে আয়াতুল কুরসি বা সুরায়ে নাস ও ফালাক ইত্যাদি পড়া জায়েজ হবে। এ অবস্থায় জিকির করা ও তাসবিহ পড়াও জায়েজ হবে।

ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিরা আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

মাসিক অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত শোনা এবং উচ্চারণ না করে কোরআনের লেখার ওপর নজর বুলিয়ে যাওয়া এবং মনে মনে পড়াও জায়েজ। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো এক স্ত্রী ঋতুমতী থাকা অবস্থায়ও তিনি তার কোলে মাথা রেখে শুতেন এবং কোরআন পাঠ করতেন। (সুনানে নাসাঈ: ৩৮১)

মাসিক অবস্থায় গিলাফে মোড়ানো কোরআন ধরা যাবে। অন্য কোনো পবিত্র কাপড় দিয়েও কোরআন ধরা যাবে। তবে ওই কাপড়টি নিজের পরিহিত পোশাকের অংশ না হওয়া আবশ্যক।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।