ব্যথায় আক্রান্ত সাহাবিকে যে দোয়া পড়তে বলেছিলেন নবিজি (সা.)
উসমান ইবনু আবুস-সাকাফী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি আল্লাহর রাসুলের কাছে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শারীরিক ব্যথার বিষয়ে বলেছিলেন যা তিনি মুসলমান হওয়ার সময় থেকে তার শরীরে অনুভব করছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, আপনার শরীরের যে জায়গা ব্যথায় আক্রান্ত হয়, ওই জায়গায় তোমার হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ বলবেন এবং সাতবার বলবেন,
أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
উচ্চারণ: আউজু বিইজ্জাতিল্লহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।
অর্থ: আমি আল্লাহ ও তার কুদরতের শরণাপন্ন হচ্ছি আমি যা অনুভব করছি এবং ভয় করছি তার অকল্যাণ থেকে। (সহিহ মুসলিম)
ব্যথায় আক্রান্ত হলে হাদিসের শিখিয়ে দেওয়া নিয়মে এ দোয়াটি পড়তে পারেন। আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা তার দয়ায় ব্যথা দূর করে দেবেন।
দোয়া আল্লাহর প্রিয় আমল। নবি (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়ার মতো প্রিয় আর কিছু নেই। (মুসনাদে আহমদ) কারণ দোয়ায় বান্দার দাসত্ব, বিনয়, অহংকারহীনতা ও আল্লাহর কাছে তার মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ
তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। যারা অহংকার করে আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা গাফির: ৬০)
মুসলমানের দোয়া কখনও বিফলে যায় না। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, মুসলমান যদি এমন কোনো দোয়া করে যেখানে অন্যায় বা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের দাবি নেই, তাহলে সেই দোয়ার কারণে আল্লাহ তাকে যে কোনো একটি প্রতিদান অবশ্যই দেন; হয়তো সে যা চেয়েছে দ্রুতই তাকে তা দিয়ে দেন, তার প্রতিদান আখেরাতের জন্য রেখে দেন, অথবা তার থেকে কোনো বিপদ বা মসিবত দূর করে দেন। সাহাবিরা বললেন, যদি আমরা অনেক বেশি দোয়া করি? নবিজি (সা.) উত্তর দিলেন, আল্লাহ বেশি দান করবেন। (মুসনাদে আহমদ)
ওএফএফ/জিকেএস