কুরআনে অনিচ্ছাকৃত শপথের বিধান


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে শপথ করার পর তা ভাঙতে চাইলে অবশ্যই কাফফারা আদায় করতে হবে। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ধরণের নিয়ত বা ইচ্ছা ব্যতিত অভ্যাসের কারণে যখন কোনো শপথ করে ফেললে সে শপথের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে পাকড়াও করবেন না বা ওই শপথের কোনো কাফফারাও নেই। এ শপথ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran
আয়াতের অনুবাদ
Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২২৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন নামে শপথের বর্ণনা তুলে ধরছেন। যে শপথের সঙ্গে অন্তরের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ অভ্যাসবশত বাজে শপথ। অবশ্য যদি কেউ আন্তরিকতার সঙ্গে আল্লাহর নামে শপথ করে বসে তবে অবশ্যই তাকে পাকড়াও করা হবে। সে শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে।

আগের আয়াতে আল্লাহ তাআলা ওই সব বিষয় তুলে ধরেছেন, যে সব বিষয়ে আল্লাহর নামেও শপথ করা যাবে না। অথচ মানুষ তা করে বসে। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা দুটি বিষয় তুলে ধরছেন-

>> কথার কথা হিসেবে অনিচ্ছায় ও স্বভাবগতভাবে যে সব শপথ বাক্য মানুষের মুখ থেকে বের হয়ে যায়; সে শপথের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে পাকড়াও করবেন না এবং এ শপথের জন্য কাফফারাও দিতে হবে না।

>> যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে শপথ করে বসে; তাকে অবশ্যই কসম রক্ষা করতে হবে অর্থাৎ শপথ ভঙ্গ করলে তাকে কাফফারা দিতে হবে। তবে এ কসম করতে হবে আন্তরিকভাবে।

পক্ষান্তরে স্বেচ্ছায় মিথ্যা যে কোনো কসম করাই মারাত্মক পাপ। সুতরাং কোনো বিষয়ে অনর্থক শপথ না করাই উত্তম।

পড়ুন- সুরা বাকারার ২২৪ নং আয়াত

পরিষেশে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনে ঘোষিত বিধান অনুযায়ী শপথের বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। অনর্থক কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।