‘উড়তে নৃত্যশিল্পীদের ডানা লাগে না’

‘উচ্ছল মুক্ত বিহঙ্গ’। ‘নারীমুক্তির অভিব্যক্তি’। ‘বাংলার উড়ন্ত মানবী’। ‘আগুন ডানার পাখি’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে এক তরুণীর ব্যালে নৃত্যকলার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর পর অনেকে এমনই উপমা দিচ্ছেন দারুণ মুগ্ধতায়।
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে টানানো বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার। তার সামনে ওই তরুণীর এমন নান্দনিক প্রকাশকে কেউ কেউ ‘সংকট থেকে মুক্তির প্রতীক’ও বলছেন।
ওই তরুণীর নাম মোবাশ্বিরা কামাল ইরা। বাড়ি নওগাঁয়। পড়ছেন নওগাঁ সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে নিজের আইডিতে ‘সামথিং নিউ’ (নতুন কিছু) শিরোনামের অ্যালবামে ওই ছবিগুলো প্রকাশ করে ইরা লিখেছেন, ‘আমার মা রত্না কামালের জন্য নিবেদিত, যিনি ব্যালে শেখার জন্য আমাকে সবসময় এগিয়ে দিয়েছেন এবং সমর্থন জুগিয়েছেন’।
ছবিগুলো তোলার জন্য চিত্রগ্রাহক জয়িতা আফরিনকেও ওই পোস্টে ধন্যবাদ জানান ইরা।
ইরার সেই পোস্টে আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা লিখেছেন, ‘বাংলার উড়ন্ত মানবী।’
লেখক-প্রকাশক মো. আরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘আগুন ডানার পাখি’।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চিত্রগ্রাহক জয়িতা আফরিন ছবিগুলো তার আইডিতে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘উড়তে নৃত্যশিল্পীদের ডানা লাগে না’।
ইরার একটি ছবি ফেসবুকে নিজের আইডিতে শেয়ার করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদও।
লেখিকা আঞ্জুমান রোজী তার ফেসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘নাচের এই মুদ্রাগুলোকে আমার কাছে নারীমুক্তির অভিব্যক্তি মনে হচ্ছে। অসাধারণ কোরিওগ্রাফিতে প্রকাশ পেয়েছে। যেন ভেঙে-চুরে নিজেকে তুলে ধরা। সাধুবাদ জানাতেই হয় কোরিওগ্রাফার এবং ক্যামেরাম্যানকে। নৃত্যশিল্পীর নাম মোবাশ্বিরা কামাল ইরা এবং ক্যামেরাম্যান জয়িতা আফরিন।’
এইচএ/জিকেএস