সিআইডি ল্যাবের নমুনার শতকরা ৮৫ ভাগই মাদকদ্রব্য

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজধানীসহ সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্থাপিত সিআইডির পৃথক দুটি কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে এ দুটি ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক মাদক ও ভিসেরার নমুনা পাঠানো হচ্ছে। তন্মধ্যে ঢাকার কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি ও চট্টগ্রামের ল্যাবরেটরিতে কমবেশি ৫০টি নমুনা আসছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদকের মোট নমুনার শতকরা ৮৫ ভাগই ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের। আবার মোট মাদকদ্রব্যের অর্ধেকের বেশি ইয়াবা। তারা জানান, কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ইয়াবা, রাজশাহী থেকে হেরোইন ও আখাউড়া থেকে অধিক পরিমাণ গাঁজার নমুনা আসে।

সিআইডি ল্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সিআইডির দুটি ল্যাবরেটরিতে কর্মব্যস্ততা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। নতুন করে ছয়জন সহকারি রাসায়নিক পরীক্ষক নিয়োগ প্রদানের ফলে অধিক পরিমাণ নমুনা দ্রুত পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে।

আগে মাত্র ২ জন উপ-প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ও ২ জন সহকারি রাসায়নিক পরীক্ষক দিয়ে ল্যাবের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে ১০ জন কর্মকতা কাজ করছেন। নতুন জনবল নিয়োগ হওয়ায় আগের তুলনায় কাজের গতি বেড়েছে।

CID

কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ল্যাবের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কায়সার রহমান বলেন, এক সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নমুনা তাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হলেও বর্তমানে সেইসব নমুনা সিআইডি ল্যাবে আসছে। উদাহারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ৫টি, ২০১৬ সালে ৩০টি ও চলতি বছর গড়ে ১৫০টি নমুনা আসছে। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় পাঠানো নমুনার সংখ্যা বেড়েছে।

কায়সার রহমানের দাবি নমুনার সংখ্যা বাড়লেও এ কারণে পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে না। এখন মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে মাদকের নমুনার রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

জানা গেছে, ধরনভেদে দুটি রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে যে ধরনের আলামত পাঠানো হয়, তন্মধ্যে মানুষ ও গবাদিপশুর ভিসেরা, এসিড দগ্ধ আলামত, বীর্য মিশ্রিত আলামত, বিষাক্ত পানি ও মাছ, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, চোলাই মদ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও গান শট রেসিডিউ রয়েছে।

মামলা ও আলামতের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও ল্যাবরেটরির কর্মরতরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিয়মিত বেশিরভাগ মামলার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল, পুলিশ ও আদালতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

এমইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।