ফাহিমের মূল্যায়ন

সমস্যাসঙ্কুল ও কঠিন জায়গার অতন্দ্রপ্রহরী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৫

দেশ বরেণ্য প্রশিক্ষক ও ব্যাটিং কনসালটেন্ট নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দীর্ঘদিন এক কঠিন মিশনে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন। যে কাজটা সহজ ছিল না মোটেও।

একটা লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে ৬-৭ নম্বরে কোনো স্পেশালিস্ট ব্যাটার ছিল না। পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো একজনই ছিলেন, মাহমুদউল্লাহ। ওই পজিশনে ভালো করাও ছিল কঠিন।

ফাহিমের অনুভব, ‘রিয়াদ সেখানে সবটুকু উজাড় করে চেষ্টা করেছে। অনেক কষ্ট করেই আজকের রিয়াদ হয়েছে। মিডল অর্ডারের ওই জায়গায় সে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছে। জাতীয় দলে তার যাত্রাই শুরু হয়েছে মিডল অর্ডারের ওই সমস্যাসঙ্কুল ও কঠিন জায়গার অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে। যেখান থেকে দলকে সে বাঁচাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সে অনেকবার দলকে মিডল অর্ডারে গিয়ে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সেটারই একটা পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলেও ওই জায়গায়ই খেলেছে, দায়িত্ব পেয়েছে।’

ফাহিমের অনুভব, এখন ঘরোয়া ক্রিকেট ও জাতীয় দলে বিভিন্ন ফরম্যাটে জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী রাব্বিরা উঠে এসেছেন। যারা ৬-৭ নম্বরে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন। পরিস্তিতি অনুযায়ী খেলতে পারছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় জাতীয় দলে ওই জায়গায় সে (মাহমুদউল্লাহ) ছিল সেরা। একটা দীর্ঘ সময় ওই জায়গায় রিয়াদ ছাড়া কোনো স্পেশালিস্ট পারফরমার দেখিনি। এখন হয়তো কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে। জাকের আলী, শামীম, সোহান আর ইয়াসির আলীরা উঠে আসছে। কিছুদিন আগেও ওই জায়গায় রিয়াদ ছাড়া কেউ ছিল না। যে কারণে তাকে খুব একটা বড় ভূমিকা পালন করতে হয়েছে অনেক দিন ধরে। সে শতভাগ দিয়ে নিজের কাজ করেছে।’

এআরবি/এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।