সিরাজের নায়ক হওয়ার নেপথ্যে মোবাইল ওয়ালপেপার!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫

ওভাল টেস্টের পঞ্চম দিন জিততে পারতো যে কোনো দলই। বরং ভারতের সম্ভাবনাই ছিল কম। ইংল্যান্ডের দরকার ৩৫ রান, হাতে ৪ উইকেট। এমন এক টেস্টে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হলো। টানটান উত্তেজনার পর শেষ হাসি হাসলো ভারত।

৬ রানের জয় ভারতকে শুধু ম্যাচেই জেতায়নি, বাঁচিয়েছে সিরিজও। ২-২ সমতায় শেষ করেছে শুভমান গিলের দল। ভারতের এই সাফল্যের নায়ক পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। টেস্টের শেষদিনে জাদুকরী বোলিংয়ে ভারতকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন তিনি।

লক্ষ্য ছিল ৩৭৪ রানের। ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। দিনের শুরুতেই তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে জেমি স্মিথ আর জেমি ওভারটনকে হারিয়ে। দুটি উইকেটই নেন মোহাম্মদ সিরাজ।

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষটাও করেছেন সিরাজই। এক প্রান্ত ধরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া গুস এটকিনসনকে বোল্ড করেন এই পেসার। ভারতীয় শিবির মাতে জয়োল্লাসে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টিসহ দুই ইনিংস মিলিয়ে সিরাজের শিকার ৯ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও উঠেছে তারই হাতে। পুরস্কার হাতে নিয়ে জানালেন অবাক করা এক তথ্য। তার সাফল্যের নেপথ্যে নাকি মোবাইল ওয়ালপেপার!

সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুগ্লে একটি জিনিস খুঁজেছিলেন সিরাজ। ‘বিলিভ’ লেখা একটি ছবি খুঁজে সেটিকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে ‘সেভ’ করেছিলেন। মোবাইল খুলতে গেলেই যাতে সেটি চোখে পড়ে। নিজের প্রতি এই বিশ্বাসই পঞ্চম দিন সিরাজের সেরাটা বার করে এনেছে।

নিজেই সে কথা জানিয়েছেন সিরাজ (mohammed siraj)। বলেছেন, ‘আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করে দেখাতে পারব। গুগ্ল থেকে একটা ‘বিলিভ’ লেখা ছবি নিয়ে সেটাকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে রেখেছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করতে পারি। অবশেষে সফল হয়েছি।’

প্রথম দিন থেকে কঠোর পরিশ্রম করার কারণেই যে ভারত সিরিজ ড্র রাখতে পেরেছে, এটা জানিয়ে দিয়েছেন সিরাজ। বলেছেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে লড়াই করেছি। বল করার সময় চেষ্টা করেছি ধারাবাহিকভাবে একই জায়গায় বল রেখে যাওয়ার। বিপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। যা পেয়েছি সেটা আমার কাছে উপরি পাওনা।’

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।