তাহলে কি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই হচ্ছে মাশরাফির উত্তরসূরি!
মুশফিকুর রহীম রাজি নন, তামিম ইকবালের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বোর্ড পরিচালকরা। তাহলে সাকিব আল হাসান না ফেরা পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্বটা কাকে দেয়া হবে?
অনেক বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো জানা যাবে আজ বিকেলে বিসিবি পরিচালকদের বোর্ড মিটিংয়ের পর। তবে, নানা জ্বল্পনা-কল্পনার ডাল-পালা গজিয়েছে ইতিমধ্যেই। সাকিব-মাশরাফি বাদে পঞ্চপান্ডবের বাকি তিনজনের দু’জনকে যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন সবেধন নিলমনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই একমাত্র ভরসা।
আজ (রোববার) সকালেই জাগোনিউজে রিপোর্ট হয়েছে, বোর্ড সভায় হয়তো আজই বাছাই করা হবে মাশরাফির পরিবর্তিত কে? সেখানে অনেক বিকল্পের সন্ধানই দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তরুণ নেতৃত্বের কথাও কি তাহলে চিন্তা করা হচ্ছে? যদিও মাশরাফি শেষ বেলায় পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করার জন্যই পরামর্শ দিয়ে গেছেন। বোর্ড পরিচালকদের অনেকেই তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আগ্রহী নন।
সে ক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই একমাত্র বিকল্প। এর আগেও অনেকবার এমন অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। যদিও স্থায়ীভাবে তাকে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়নি কখনো। নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেকবারই তিনি দিয়েছেন। তবুও, কেন যেন বিসিবি তার ওপর স্থানীয় নেতৃত্বের জন্য আস্থা রাখতে পারছে না।
মাশরাফি বিন মর্তুজা ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ছাড়ার পর নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু ইনজুরির কারণে তাকে থাকতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। যে কারণে নেতৃত্ব এসে পড়ে মাহমুদউল্লাহর ঘাড়েই। শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফি, এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিসহ বেশ কিছু সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে রিয়াদকে।
সাকিবের ইনজুরির কারণে অনেকগুলো টেস্টেও দায়িত্বভার বর্তেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঘাড়ে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরও ছিল। তবে, গত বছরের শেষ দিকে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে রিয়াদকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় মুমিনুল হকের কাছে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির পরিকল্পনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল নির্বাচকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন অনেকবার দায়িত্ব পালন করলেও মাহমুদউল্লাহ অনেকবারই বলেছিলেন, ‘নেতৃত্বটা স্থায়ী হলে ভালো হয়। নিজের মত করে দল ঘোচানোর কাজটাও করা যায় ভালোভাবে।’
কিন্তু তার সে কথা গুরুত্ব পায়নি কখনো। এমনকি যখন স্থায়ী নেতৃত্ব দেয়া হবে না বলে মুশফিকুর রহীম এখন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিতে রাজি হচ্ছেন না, তখন সেই রিয়াদই সম্ভাব্য সেরা বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সামনে। বিসিবির কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে আলাপে এমন ইঙ্গিতই পেয়েছে জাগো নিউজ।
তবে আজকের বোর্ড সভায় আরেকটি বিষয় আলোচনা হতে পারে। সেটা হচ্ছে, সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসলেও আদৌ তিনি আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চাইবেন কি না। কিংবা ২০২৩ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন কি না, সে বিষয়টাও। এ জন্য বিসিবির কেউ কেউ চিন্তা করছে দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যাপারেও। সে ক্ষেত্রে রিয়াদই সম্ভাব্য বিকল্প নাকি অন্য কাউকে সামনে আনা হবে- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আইএইচএস/পিআর