করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ভারতের সাবেক অধিনায়ক
দ্বিতীয়বারের মতো হতাশ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরতে হলো ভারতের সাবেক অধিনায়ক নারি কন্ট্রাকটরকে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিলেও, হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ৮৮ বছর বয়সী নারি কন্ট্রাকটর ও তার স্ত্রী ডলি কন্ট্রাকটর।
শনিবার দ্বিতীয় ডোজের আশায় দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে গিয়েছিলেন নারি কন্ট্রাকটর। কিন্তু মুম্বাইয়ে টিকার অপর্যাপ্তার কারণে নেয়া হয়নি তার। কবে দিতে পারবেন সে বিষয়েও কোনো আশার খবর পাননি হাসপাতাল থেকে।
দৃষ্টিশক্তিহীন নারি কন্ট্রাকটর ছেলে হোসেদারের সহায়তায় গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের চামা হাসপাতালে। কিন্তু টিকা না থাকায় হাসপাতালে ঢুকতেও দেয়া হয়নি তাকে। চলৎশক্তিহীন নারি কন্ট্রাকটর আরও একবার বাড়ি ফিরেছেন হতাশ হয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোসেদার কন্ট্রাকটর জানিয়েছেন, করোনা টিকার জন্য আগেই নিবন্ধন করেছিলেন তার বাবা-মা। মাস দুয়েক আগে প্রথম ডোজের টিকা দিতে পারলেও, দ্বিতীয় ডোজের টিকার বেলায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
হোসেদার লিখেছেন, ‘টিকা নেয়ার জন্য আমার বাবা-মাকে তৈরি করতে তিন ঘণ্টা করে লাগে। চলৎশক্তিহীন একজন মানুষের জন্য বাইরে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার। যেহেতু ভ্যাকসিন নেই, তাহলে কেন আমাদের তারিখ দেয়া হচ্ছে? মাত্রই সেন্টার থেকে বাসায় ফিরলাম। এবারই প্রথম নয়। এর আগেও টিকা নেয়া ছাড়াই ফিরতে হয়েছে বাসায়।’
গত ৫ মার্চ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন নারি কন্ট্রাকটর ও তার স্ত্রী। নিয়মানুয়ায়ী ৮ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু এখন প্রায় ১০ সপ্তাহেও নিতে পারেননি দ্বিতীয় ডোজ। তাই নিজের ক্ষোভ ও হতাশা উগড়ে দিয়েছেন তাদের ছেলে হোসেদার।
সানডে মিড-ডেকে হোসেদার বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে ভ্যাকসিনের স্বল্পতা রয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের তারিখ ঠিক করা তো কঠিন কাজ না। ভ্যাকসিন যখন আসবে, তখনই না হয় সেন্টারে যাওয়ার তারিখ দেয়া হোক। এবারই প্রথম না, এর আগেও ভ্যাকসিন না দিয়ে ফিরতে হয়েছে। আমর যথাসময়ে হাসপাতালে গিয়েছি। কিন্তু ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়েই।’
এসএএস/এমকেএইচ