শেষ কর্মদিনে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় সিক্ত সম্পাদক দুলাল মাহমুদ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

টানা ২৯ বছর পাক্ষিক ক্রীড়াজগতের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে বুধবার অবসরে গেছেন মাহমুদ হোসেন খান দুলাল (দুলাল মাহমুদ)। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত এই ম্যাগাজিনটি দেশের ক্রীড়ার আর্কাইভ হিসেবেও পরিচিত।

১৯৯৬ সালে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুলাল মাহমুদ ক্রীড়াজগত পত্রিকার মানোন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। বুধবার শেষ কর্মদিবসে দুলাল মাহমুদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তার কর্মস্থল ক্রীড়াজগত শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও আলাদা করে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন।

এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক, বর্তমান, ক্রীড়াজগতের সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ক্রীড়াজগত মূলত প্রকাশিত হয় অতিথি লেখকদের লেখনি দিয়ে। দুলাল মাহমুদের শেষ কর্মদিবসে পত্রিকাটির অনেক লেখক-শুভাকাঙ্খি উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদককে বিদায় দিতে গিয়ে ক্রীড়াজগতের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। আবেগময় বক্তব্য রেখেছেন পত্রিকাটিতে লেখালেখি করেন এমন অনেকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্যান্য শাখায় চাকরি করে যারা আগে অবসরে গেছেন তাদের অনেকেও বুধবার দুলাল মাহমুদের শেষ কর্মদিবসে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শেষবার অফিসে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আগে দুলাল মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৯ বছর এই পত্রিকাকে ‌১ ও ১৬ তারিখে প্রকাশের জন্য অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছি। তবে করোনা মহামারীর সময় ছাড়া কখনো প্রকাশের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। ক্রীড়াজগতের প্রতি আমার শুভ কামনা থাকলো। যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের যে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমি করবো। দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারো প্রতি কোনো খারাপা আচরণ করলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

১৯৮২ সালে ক্রীড়াজগত দিয়েই লেখালেখি শুরু করেছিলেন দুলাল মাহমুদ। ১৯৮৫ সালে এখানে খন্ডকালীন রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিয়ে এক বছর কাজ করেছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক বাংলার বাণীতে সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। দৈনিক আজাদ পত্রিকা ঘুরে তিনি আবার বাংলার বাণীতে যোগ দিয়ে কাজ করেছেন ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।