উখিয়ায় মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : আটক ৭
কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড়ে মাদ্রাসা নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। রোববার দুপুরে উখিয়া পুলিশ স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা করইবনিয়া গ্রামে দারুল হিকমাহ নামে একটি নূরানি মাদ্রাসা ও হেফজ খানা প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় গ্রামবাসী। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্থানীয় অপর একটি মহল ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নামেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও উখিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষকে এলাকার শান্তি বিনষ্ট না করার আহ্বান জানান তারা। এ ঘটনা নিয়ে মাদ্রাসা বিরোধী পক্ষ রোববার দুপুরে উখিয়া স্টেশনে একটি মিছিল বের করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করার চেষ্টা চালালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ সাতজনকে আটক করে।
আটকরা হলেন, চাকবৈঠা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০), রাজাপালং ইউনিয়নের শিলের ছড়ার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে আমির শরীফ (৪৫), ডিগলিয়া গ্রামের রোহিঙ্গা বংশদূত হাজী জামাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪২), মাস্টার রশিদ আহমদের ছেলে মুসলেম উদ্দিন, মৃত হাজী আছমত আলীর ছেলে শামসুল আলম, মৃত শফর মুল্লুকের ছেলে শফিউল আলম, নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ নুর।
পরে আটক ছয়জনকে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরীর বিশেষ অনুরোধে পুলিশ ছেড়ে দেয়। তবে অপর আটক রোহিঙ্গা আনোয়ারকে সোমবার সকালে হাজতে পাঠানো হবে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আর আটক আনোয়ারকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এআরএ/এমএস