টি-টোয়েন্টিতে আমরাই সেরা : ধোনি

প্রতিটি ম্যাচের পরই ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এই প্রশ্নটার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেন সুযোগ পাচ্ছেন না ব্যাটসম্যানরা? যুবরাজ সিংয়ের কথা বাদই দেওয়া গেল; কিন্তু বাকিরাও সেভাবে সুযোগ পাচ্ছেন কই? এরমধ্যে একমাত্র পুনেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। অথচ সেখানে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ তার দল। সর্বশেষ বিশাখাপত্তমে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা কম রান (৮২) করায় প্রথম তিনজনের বাইরে আর কারও ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। যুবরাজ সিংকে একবার দেখা গিয়েছিল প্যাড–হেলমেট পরে তৈরি হয়ে আছেন; কিন্তু নামার সুযোগ পেলেন না।

ধোনি প্রশ্নটা মেনে নিলেন, কিন্তু বলতে ভুললেন না তার দলের ব্যাটিংলাইনআপ কতটা শক্তিশালী। ‘সবাই ব্যাট করার সুযোগ পায়নি ঠিকই; কিন্তু দেখতে হবে আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ কতটা গভীর। সবাই যাতে সুযোগ পায় সেটা যেমন দেখতে হবে, তেমনই ৬, ৭ বা ৮ নম্বরে যারা ব্যাট করতে নামবে, তারা যেন বড় শট খেলতে পারে। কারণ, বড় শটই পার্থক্য গড়ে দেবে।’

যদিও বোলারদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে ধোনি মোটামুটি সব বোলারকেই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলিয়েছেন। জশপ্রিত বুমরা বা হার্দিক পাণ্ডের মতো বোলারদেরও খুঁজে পেয়েছেন। ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচে বোলাররা ডেথ বোলিংটা বেশ ভাল করেছে। যেটা বেশ ভাল ব্যাপার।’ ম্যান অফ দ্য সিরিজ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ ধোনি। শ্রীলংকা সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে অশ্বিনকে শুরু থেকেই আক্রমণে এনেছিলেন তিনি। ফায়দাও পেয়েছেন। দুটি ম্যাচেই ৪টি করে উইকেট পেয়ে সিরিজ–সেরা অশ্বিন।

ধোনির মন্তব্য, ‘অশ্বিনকে নতুন বল দিলেই, ও ভাল ফ্লাইট করিয়ে ব্যাটসম্যানকে প্রলোভিত করে এগিয়ে এসে খেলার জন্য। এই ফরম্যাটে যেটা গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা এত সুন্দর করে যে পরের বোলাররা অনেকটা স্বাধীনতা পেয়ে যায়।’

সামনেই বিশ্বকাপ। সেটাও ঘরের মাঠে। দ্বিতীয়বারের জন্য ট্রফিটা কি ভারতের ক্যাবিনেটে আসতে চলেছে? ধোনির গলা বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনাল। জোর দিয়ে বললেন, ‘সীমিত ওভারের ফরম্যাটে আমরাই সেরা। ঘরের মাঠে খেলায় স্পিনাররা কাজে আসবে এবং সেটা অতিরিক্ত লাভ। তাছাড়া সাতটা আইপিএল খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে।’

পরপর দু’ম্যাচে ব্যাট হাতে জয়ের কারিগর যিনি, সেই শিখর ধাওয়ান আবার ম্যাচের পরের দিনই খোশমেজাজে। বিশাখাপত্তম থেকে ঘরে ফেরার আগে সতীর্থ রোহিত শর্মাকে ‘সাক্ষাৎকার’ও দিলেন। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, এই আগুনে ফর্ম কতটা সাহায্য করবে বিশ্বকাপে? হেসে ধাওয়ানের জবাব, ‘ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, আমি ফর্মে ফেরায় সতীর্থরা খুশি। চেষ্টা করছি মূল ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক রাখতে আর বল মারার সময় টাইমিংটা ঠিকঠাক রাখতে।’

আইএইচএস/পিআর