এবার হাঙরের কবলে স্টেইন-ডুপ্লেসিরা
ভিডিওটা দেখলেই রক্ত হিম হয়ে যেতে পারে। লোহার খাঁচায় সমুদ্রে ডুবুরির পোশাকে নেমেছেন কয়েকজন। সমুদ্রের গভীরে নামাতেই খাঁচার বাইরে হাঙরের দাপাদাপি। বার কয়েক খাঁচায় হামলাও করলো সেই ‘গ্রেট হোয়াইট শার্ক’।
পারলে ছিঁড়ে এখুনি খেয়ে ফেলবে। সেটা না পেরে পরপর আঘাত খাঁচায়। সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত দেখে তখন আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়। আতঙ্কে একজন তো তারস্বরে চিৎকারই জুড়ে দিলেন খাঁচায়।
কয়েকদিন আগেই রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আহত একটি সাপকে বাঁচাতে গিয়ে ব্ল্যাক মাম্বার মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এ বার হাঙরের ‘দাঁত’ থেকে বাঁচলেন। তিনি আর কেউ নন, ডেল স্টেইন।
কাঁধের চোটের জন্য ইংল্যান্ড সিরিজের বেশির ভাগটাই মাঠে নামতে পারেননি স্টেইনগান। মঙ্গলবার তার সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, ফাফ ডুপ্লেসিদের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারে আরও বড় চোট লাগতে পারতেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তারকার।
সেসব বিপদ নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত লাগলো না স্টেইনকে। উল্টে হাঙরের মুখ থেকে ফিরে এসে খাঁচার বাইরে হাসিহাসি মুখে সেলফিও পোস্ট করেছেন স্টেইন। তবে কতোটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল সেটা স্টেইনের ইনস্টাগ্রামের পোস্টেই স্পষ্ট।
‘‘তিনি যখন হাজির হবেন কোনো ইয়ার্কি-ফাজলামি মারার জায়গা থাকবে না। ওয়াও!!!’’ হাঙরের খাঁচায় হামলা দেখে চিৎকারটা কার ছিল সেটাও ফাঁস করেছেন স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রেস অফিসার লেরাটো মালেকুটুর।
আর বাকিদের অভিজ্ঞতা কেমন? মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার টুইট করেছেন, ‘‘দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা হলো। শার্ক কেজ ডাইভিং শেষ। অসাধারণ একটা প্রাণী।’’ ডুপ্লেসির আবার টুইট, ‘‘সমুদ্রের বিগ ডগদের সঙ্গে দিনটা দুরন্ত কাটলো।’’
আর ডি ভিলিয়ার্স? তিনি এখনো অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় না জানালেও একটা রহস্য তিনিও ফাঁস করে দিয়েছেন সমুদ্রে এই অ্যাডভেঞ্চারে নামার আগেই। বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলাররা যাঁকে দেখে কেঁপে যান, তিনি হাঙরকে ভয় পান না। পান ‘সি সিকনেস’কে।
বিএ