ইউপি নির্বাচন : কিশোরগঞ্জে দলীয় মনোনয়ন পেয়েই মাঠে নেমেছে প্রার্থী
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আর প্রতীক দেখে নয়, বরং সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করার কথা ভাবছেন ভোটাররা। প্রথম পর্বে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। হাতে সময় খুব বেশি নেই। তাই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে প্রতীক বরাদ্দের আগেই ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা।
আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই প্রতিটি ইউনিয়নের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের কাছে দোয়া আর নিজের জন্য ভোট চাইছেন। দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি। দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক নির্ধারিত থাকায় প্রচার-প্রচারণায় অনেকটা এগিয়ে তারা। তবে বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি সবাই।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে মার্কা দেখে নয়, বরং এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে এমন যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করার কথা ভাবছেন সাধারণ ভোটাররা। আর উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন শেষ করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জ সদর উজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে ২২ মার্চ। চেয়ারম্যান পদে ৬৭ জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১৩৩ এবং সাধারণ আসনে ৪৫৪ জন সদস্য পদ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর এসব ইউনিয়নে ভোট দিবেন প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ জন ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৪ জন। আর নারী ভোটার হচ্ছেন, ১ লাখ ৭ হাজার ১৮৩ জন। ১০২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে।
১১টি ইউনিয়নে মনোনয়ন পেলেন যারা
বিন্নাটি : এখানে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগে আজহারুল ইসলাম, বিএনপির এএইচ এম লুৎফুল বারী খোকন। বাকিরা স্বতন্ত্র।
বৌলাই : এখানে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মো. আওলাদ হোসেন, বিএনপি থেকে মো. নূরুল হক ও ইসলামী আন্দোলন থেকে মো. হাদিউল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
যশোদল : যশোদলে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মো. জাহেদ মিয়া ও বিএনপির মো. রুকন উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকিরা স্বতন্ত্র।
কর্শাকড়িয়াইল : মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের রয়েছেন মো. বদর উদ্দিন ও বিএনপির মো. জালাল উদ্দিন।
দানাপাটুলি : এই ইউনিয়নে মোট ৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মো. সাকাওয়াত হোসেন দুলাল, বিএনপির ধানের শীষে মো. আরিফুল হক ও জাতীয় পার্টির নৌকা প্রতীকে মো. উসমান গণিসহ আরো চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
লতিবাবাদ : ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মো. সেলিম, বিএনপি থেকে বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টি থেকে মো. জামাল উদ্দিন। এছাড়াও চারজন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
রশিদাবাদ : এখানে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মো. সিরাজুল আলম, বিএনপি থেকে মো. ইদ্রিস মিয়া ও জাতীয় পার্টি থেকে এ কে এম রেজাউল হক ইকবালসহ আরো চারজন প্রার্থী রয়েছেন।
মহিনন্দ : এখানে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরছেন। আওয়ামী লীগের মনসুর আলী, বিএনপির আবদুর রশিদ, ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আহমেদ শামীমসহ আরো একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মারিয়া : মারিয়াতে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মো. মজিবুর রহমান, বিএনপির ওবায়দুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির মো. মমতাজসহ আরো তিনজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চৌদ্দশত : এখানে ৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। আওয়ামী লীগের এবি সিদ্দিক খোকা, বিএনপির আমিনুল হক রতনসহ আরো ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মাইজখাপন : এখানে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির রুকন উদ্দিন ভূঁইয়া, সিপিবির রাহাত উদ্দিনসহ আরো ২ জন রযেছেন।
নূর মোহাম্মদ/ এমএএস/এবিএস