ফাইনালে খেলবেন বিশ্বাস ছিল অধিনায়কের


প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৬

টানা তিন ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। অথচ ভারতের বিপক্ষে বড় হারের পর অনেকটাই চাপে পড়েছিল টাইগাররা। সেই চাপকে সামলে দারুণভাবে ফিরে আসেন মাশরাফিরা। সে ম্যাচে হারের পরও ফাইনালে খেলতে পারবেন এমনটাই বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা হেরে যাওয়ার পরও আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা ফাইনাল খেলতে পারি। আমার বিশ্বাস ছিল। সত্যি কথা বলতে আমার অনেক বিশ্বাস ছিল আমরা ফাইনাল খেলতে পারি। আল্লাহর রহমতে সেটাই হয়েছে। এবং এ কথটা আমি আমার সতীর্থদের বলেছিলাম।’

তবে ফাইনালে খেললেও নিজেদের খেলার প্রসেস ঠিক রাখতে পারায় খুশি অধিনায়ক। এভাবে নিয়মিত খেলতে পারলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে পারেবন বলে জানান তিনি। এশিয়া কাপে ফাইনালে খেলতে পারা অনেক বড় অর্জন বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে খেলতে আসিনি। আমরা যা অর্জন করবো সেটাই আমাদের জন্য একটা অর্জন হয়ে থাকবে। আমরা যদি না পারি সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। আমরা যা অনুশীলন করেছি, আমরা যা করতে চাচ্ছি সেগুলো যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। যাতে আমাদের মনে হয় আমরা ভালো করছি। গ্রাফটা যেন ভালোর দিকে থাকে।’

তবে এমন জয়ের পরও ছেলেদের সাবধান করে দিয়েছেন তিনি। অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরের ম্যাচে যেন কোনো ভুল না করেন তাই বলে দিয়েছেন মাটিতে পা রাখতে।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনটা ম্যাচ জেতার পর ছেলেরা আসলে আত্মবিশ্বাসী। এখনো বলবো সবাইকে মাঠিতে পা রাখতে। সবার স্বাভাবিক খেলা খেলতে। সবাইকে অনুরোধ করবো অপ্রয়োজনীয় চাপ না নিতে। কেউ সিওর ছিল না আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবো। তারা বিশ্বাস রেখেছে মনের ভেতর এটা আমরা খেলতে পারি। তাতেই হয়েছে। চেষ্টা করবো আমরা সেরাটা খেলার। সেরাটা নাও হতে পারে। সেটা হলে অবশ্যই ভালো খেলা হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী ৬ মার্চ একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরে শিরোপা হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।