অপমানে-লজ্জায় অনুশীলনেই এলেন না আফ্রিদি
ক্যারিয়ারের একেবারে পড়ন্ত বেলা। টেস্টকে গুডবাই জানিয়েছেন অর্ধযুগ হয়ে গেছে প্রায়। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলে যাচ্ছিলেন। গত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেকেও গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন। খেলছেন শুধু টি-টোয়েন্টি। সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানিয়ে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন তিনি; কিন্তু ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে এসে এতটা লজ্জার মুখোমুখি হতে হবে শহিদ আফ্রিদিকে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি।
ভারতের কাছে পরাজয়টা হয়তো সবাই মেনে নিয়েছিল। কারণ, দুটিই সমশক্তির দল। তবুও, ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াটা ছিল বেশ লজ্জার। তবুও, সে লজ্জা মোহাম্মদ আমিরের বোলিং দিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে পরাজয়, পাকিস্তানের মুখেই যেন চুন-কালি মেখে দিল।
বুধবার রাতে মিরপুরের শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফি এবং মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে যখন উইনিং শটটা চলে আসলো, তখনই মাথায় হাত দিয়ে মাঠে বসে পড়লেন আফ্রিদি। নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারলেন, জিনেদিন জিদানের শেষ পরিণতির মতই যেন হচ্ছে তার ভাগ্য। জিদান না হয় প্রতিপক্ষকে ঢুঁস মেরে লাল কার্ড দেখে চিরতরে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, আফ্রিদি ঢুঁস দেয়া ছাড়াই বের হওয়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে।
বাংলাদেশের কাছে হার শুধু ‘পরাজয়’ই নয়, এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ও এবং একই সঙ্গে লজ্জার। ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিংই বারবার ডোবাচ্ছে পাকিস্তানকে। বিষয়টা নিয়ে তার রাগ এবং ক্ষোভ দুটিই আছে সতীর্থদের ওপর। তারওপর, অপমান আর লজ্জায় পুড়ে হচ্ছেন ছার-খার।
আফ্রিদির কতটা বিষন্ন এবং ভেঙে পড়েছেন, সেটা বোঝা গেল আজই। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা। এ জন্য অবশ্য বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অবশ্য আবশ্যিক অনুশীলন ছিল না। ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলন করে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
তবে পাকিস্তান দলের প্রায় সব ক্রিকেটার মাঠে আসলেও হোটেলরূমে বসে ছিলেন শহিদ আফ্রিদি। অপমানে, ক্ষোভে, দুঃখে, লজ্জায় তিনি মাঠেই আর আসলেন না অনুশীলন করতে। যদিও পাকিস্তানি মিডিয়া বলছে, আফ্রিদি কেন অনুশীলনে গেলেন না তার কারণ স্পষ্ট নয়। তারা আর জানাচ্ছে, আফ্রিদি যে অনুশীলনে গেলেন না বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও (পিসিবি)।
আইএইচএস/পিআর