৬ জানুয়ারির রক্তপাতে ঠান্ডা দোহার
দোহারে ৬ জানুয়ারির ক্ষত এখনও শুকায়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন ছিল টানটান উত্তেজনা। নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কতায় ওই দিন বড় কোনো সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু নির্বাচনের পরের দিন পরিস্থিতি আর সামাল দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের সামনেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আ’লীগ নেতা এমএ মান্নান এবং জাপা নেত্রী সালমা ইসলামের সমর্থকরা। সালমা ইসলামের গ্রুপে যোগ দেয় আ’ লীগের একাংশ। সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়। সবার মনে ওই ঘটনা এখনও দাগ কেটে আছে।
নারিশা বাজারের অলির হোটেলে বসে মঙ্গলবার (২২ মার্চ-২০১৬) সেই ঘটনারই স্মৃতিচারণ করছিলেন চার ব্যক্তি। সবে ভোট দিয়ে চা পান করতে হোটেলে ঢুকেছেন তারা।
আলাপচারিতায় তাদের একজন বলেন, ‘এইবার গণ্ডগোল করলে খবর আছে। এমপি নির্বাচনে যা ঘটছিল, আবার যদি এমন হয় তাইলে পুলিশ গুলি করব।’
পাশের জন তার কথায় সায় দিয়ে বলেন, ‘এবার পুলিশের সংখ্যা বেশি দেখছি। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়ায়া আছে। কেউ জোরজুলুম করতে পারবে না বলেই মনে হয়। বাহাদুরি দেখাইলে এবার চলব না। সবাই ঠান্ডা হয়া গেছে।’
দোহারের একাধিক ইউনিয়নে ঘুরে পুলিশকেও বিশেষ সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
নির্বাচনের আগে স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোট কেন্দ্রর আশেপাশে কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পও করতে দেয়া হয়নি প্রার্থীদের। সমর্থকেরা কেন্দ্রের আশেপাশে জটলাও করতে পারছে না পুলিশের কারণে।
শিমুলিয়া কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুলও ইসলামও সতর্কাবস্থার কথা জানান। তিনি বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই আমলে নিতে হয়েছে। দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সতর্কতা আরো বাড়াতে হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউন্সিলও করা হয়েছে। সবাই সহযোগিতা করবেন বলেই আশা রাখি।
এএসএস/এরআর/এমএমজেড/এএইচ/এমএস