এ যেন করাত পরিবহন


প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

রাজধানীর শ্যামলীতে লেগুনার সামনে উঠেই দেখলাম অভিজাত ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের একটি বাস দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে সামনের দিকে। এসময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসের বডি কেটে দিয়ে সামনে চলে গেল গাড়িটি। ওই গাড়িটির সঙ্গে লেগুনাটিও ছুটে চললো। এরপর শিশুমেলার সামনে এসে দেখা মিললো অভিজাত এন্টারপ্রাইজের সেই গাড়িটির। বাসটির দিকে লক্ষ্য করতেই দেখা গেল গাড়ির বাম ও ডান পাশের বডিতে ৬টি করে ১২টি ধারালো ও চোখা ত্রিকোণা অ্যাঙ্গেল লাগানো। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। লেগুনাতে বসেই মোবাইল ফোনে কয়েকটি ছবি তুলতে না তুলতেই গাড়িটি আবারো ছুটে চললো আগারগাঁওয়ের দিকে।

Ovijat

রোববার দুপুর দেড়টার দিকের ঘটনা এটি। ছবি তোলা দেখে লেগুনার চালক জালাল বললেন, যে অ্যাঙ্গেলগুলোর ছবি তুললেন এগুলোর কারণে গাড়ির বডি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে এমন অসংখ্য গাড়ি আছে যেগুলো ভিড়ের মাঝে দ্রুতগতিতে চলতে গিয়ে অন্য গাড়ির বডি কেটে দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ির মালিক যেমন আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তেমনি গাড়ির চেহারাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবং গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Ovijat

চালকের সঙ্গে কথা হচ্ছে গাড়িও মহাখালীর পথে ছুটছে। এসময় মনে মনে ভাবতে লাগলাম একজন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারলে হয়তো এ নিয়ে একটি ভালো প্রতিবেদন তৈরি করা যেত। আল্লাহ যেন আমার এ কথাটি স্বয়ং শুনে ফেলেছিলেন। আগারগাঁওয়ে পৌঁছামাত্রই আমার পাশে এসে বসলেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করে একটা মুচকি হাসি দিলাম। ভাবলাম যাকে খুঁজছিলাম সে এখন আমার পাশে। আল্লাহও বুঝি এ ব্যাপারটির সমাধান চাচ্ছেন।

পরিচয় না দিয়েই মোবাইলে তোলা ছবিগুলো দেখলাম ট্রাফিক সার্জেন্ট খলিলকে। জানতে চাইলাম গাড়িতে কি এসব চোখা বা ধারালো অ্যাঙ্গেল লাগানো ঠিক। তিনি বললেন, না।

Ovijat

লাগালে কি কোনো শাস্তির বিধান আছে? জানতে চাইলে খলিল বলেন, এ নিয়ে ফিটনেস আইনে মামলা হতে পারে। যানবাহনের বডির অংশ দিয়ে জনসাধারণের বা অন্য কোনো গাড়ির ক্ষতি হবে এমন কোনো কিছু যানবাহনে লাগানো যাবে না। যেমন বাম্পার বা ধারালো কোনো কিছু।

তিনি আরো জানান, অভিজাত গাড়িটি এ রুটে চলে না। ব্যাপারটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।

যদিও নিজের সম্পর্কে তিনি জানান, ‘আমার ডিউটি এরিয়া মহাখালী থেকে সৈনিক ক্লাব পর্যন্ত।’

এমএএস/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।