কোন অ্যাপ লুকিয়ে ফোনের ডাটা চুরি করছে বুঝবেন যেভাবে

স্মার্টফোনে অসংখ্য অ্যাপ ব্যবহার করেন সবাই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ছবি এডিট, এআই সহ নানান কিছু। তবে কিছু অ্যাপ আছে দেখতে খুব সাধারণ হলেও তা মোটেই সাধারণ নয়। কিছু কিছু অ্যাপ আছে লুকিয়ে ব্যবহারকারীর ফোনের ডাটা চুরি করে।
এই অ্যাপ চেনা খুব সহজ কাজ নয়, তবে কিছু বিষয়ে যদি খেয়াল রাখেন তাহলে চিনতে পারবেন স্পাই অ্যাপ। আসুন স্পাই অ্যাপ চেনার সহজ কয়েকটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক-
ফোনের অস্বাভাবিক চার্জ কমে যাওয়া
অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে ব্যাটারির শক্তি? সতর্ক হোন। হয়তো ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো স্পাই অ্যাপ চলছে। ব্যাটারি সেটিংসে গিয়ে দেখে নিন কোন অ্যাপ সবচেয়ে বেশি ব্যাটারির পাওয়ার দখল করে আছে।
ফোন হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়া
খেয়াল রাখুন আপনার ফোন হুটহাট গরম হয়ে উঠছে কি না। যখন আপনি ব্যবহার করছেন না অথচ ফোন গরম হয়ে আছে। মনে হচ্ছে ফোন এখনই বুঝি আপনি ব্যবহার করলেন।
অস্বাভাবিক ডাটা খরচ
ফোনের ডাটার দিকে নজর দিন। ডাটা খরচও লাফিয়ে বাড়তে শুরু করলে সতর্ক হোন।
ফোনের অ্যাপ চেক করুণ
অনেক সময়ই স্পাই অ্যাপ এমনভাবে লুকিয়ে থাকে চেনা যায় না। সাধারণত তা কোনো চেনা অ্যাপের ছদ্মবেশ ধারণ করে। কিংবা অ্যাপ ড্রয়ারে তাকে দেখাই যায় না। সুতরাং একে খুঁজে বের করতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ করুন। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে অ্যাপসে যান। সেখান থেকে অ্যাপসে যান। লক্ষ করুন ‘সিস্টেম সার্ভিস’ ‘ডিভাইস হেলথ’ এই ধরনের কোনও অ্যাপ আছে কিনা। সেক্ষেত্রে ‘শো সিস্টেম অ্যাপস’-এ গিয়ে লুকনো সিস্টেম লেভেল অ্যাপ খুঁজুন। আইফোনের ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে জেনারেল ও তারপর আইফোন স্টোরেজে গিয়ে সমস্ত অ্যাপ খতিয়ে দেখে নিন।
ফোনের পারমিশন সেটিংস চেক করুন
আপনার যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন হয়, তাহলে সোজা চলে যান সেটিংসে। তারপর প্রাইভেসি। সবশেষে পারমিশন ম্যানেজার। আইফোনের ক্ষেত্রে সেটিং থেকে প্রাইভেসিতে গিয়ে দেখে নিন কোন কোন অ্যাপকে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও লোকেশনের অ্যাক্সেস কোন কোন অ্যাপকে দিয়ে রেখেছেন।
ফোনের সিস্টেমে মনিটরিং টুল আছে কি না
অনেক সময়ই রিমোট সার্ভারের সঙ্গে যোগ থাকে স্পাই অ্যাপগুলোর। দেখুন ওয়্যারশার্কের মতো কোনো মনিটরিং টুল আপনার সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কি না। এছাড়া আপনার ওয়াই ফাইয়ের রাউটারে কোনো অচেনা কানেকশন থেকে লগইন করা হয়েছে কি না সেটাও দেখে নিন।
- আরও পড়ুন
- ফেসবুকে আয় বাড়াতে ‘শপেবল ভিডিও’ বানাতে পারেন
- ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ, কারা ব্যবহার করেন
কেএসকে/জিকেএস