ফ্রিজের মতো এসিতে বরফ জমলে যা করবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ২৮ জুলাই ২০২৫

এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন বলা যায় ঘরের একেবারে জরুরি একটি ইলেকট্রনিক পণ্য। গরমে স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহার করেন বাড়িতে, অফিসে। বর্ষায় ঘরের আদ্রতা ঠিক রেখে স্বস্তির পরিবেশ পেতেও এসি ব্যবহার করেন।

অনেক সময় দেখা যায় এসিতে বরফ জমছে। এটি খুব সাধারণ ঘটনা নয় মোটেই। বাড়ির ফ্রিজে প্রায়ই বরফ জমে, ফ্রিজে অনেক সময় জল জমে গায়ে বরফ হয়ে যায়। তখন সেটিকে ডিফ্রস্ট করে সেই বরফ গলাতে হয়। কিন্তু এসিতে কেন বরফ জমে এবং এর সমাধান কী চলুন জেনে নেওয়া যাক-

মূলত এসির গ্যাস প্রায় শেষের দিকে চলে এলে, এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের কর্মক্ষমতাও প্রভাবিত হতে শুরু করে। যখন গ্যাস কম থাকে, তখন বাষ্পীভবনের কয়েলে বরফ তৈরি হতে শুরু করে। ইভাপোরেটর ঘরের ভেতরের ঠান্ডা করার জন্য কাজ করে কিন্তু গ্যাস কম থাকার কারণে বরফ তৈরি হতে শুরু করে। ঠান্ডা হওয়াও কমে যায়।

নোংরা ফিল্টার এবং ব্লক হয়ে যাওয়া এসি ভেন্টের ফলে বায়ুপ্রবাহ কমে যায়। এই কারণেই কয়েলে বরফ তৈরি হয়। বায়ুপ্রবাহে বাধার কারণে, কয়েল ঠান্ডা হয়ে যায় এবং বাতাসে আর্দ্রতার কারণে বরফ তৈরি হতে শুরু করে। ফলে ঠান্ডা হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এই সমস্যা এড়াতে হলে সময়ে সময়ে ফিল্টার পরিষ্কার করাটা প্রয়োজনীয়।

থার্মোস্ট্যাটের সমস্যার কারণে বরফ জমতে পারে। ঠান্ডা করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ধরে এসি চালাতে হতে পারে। ফলে কয়েলগুলো ঠান্ডা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও বরফ তৈরি হতে পারে। যদি থার্মোস্ট্যাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে এটি এসির তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এই সমস্যা এড়াতে, নিয়মিত এসি রক্ষণাবেক্ষণ করুন। যাতে থার্মোস্ট্যাটটিও পরীক্ষা করা হয়।

এছাড়া রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কম থাকলে এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। রেফ্রিজারেন্টের মাত্রা কম থাকলে বাতাসকে ঠান্ডা করার জন্য দায়ী কয়েলগুলো জমে যেতে পারে। এর কারণ হলো পর্যাপ্ত রেফ্রিজারেন্টের অভাব কয়েলগুলোকে খুব ঠান্ডা করে তোলে, যার ফলে বরফ তৈরি হয়।

বরফ জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি সিস্টেমের মধ্য দিয়ে বায়ুপ্রবাহ চলাচল সীমিত করে দেয়, যার ফলে এসি থেকে ঠান্ডা বাতাস বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এটি কেবল ইউনিটের ঠান্ডা করার দক্ষতাই হ্রাস করে না, বরং সঙ্গে সঙ্গে এর সমাধান না করা হলে তা আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এসব সমস্যা এড়াতে নিয়মিত এসির রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অবশ্যই বড় কোনো ক্ষতি এড়াতে এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এসি ব্যবহার করুন কিংবা বন্ধ অন্তত ছয়মাস পর পর মেকানিক ডেকে পরীক্ষা করান। এতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

সূত্র: গার্ডিয়ান হোম এক্সপ্রেস

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।