স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ যে দেশে
বিশ্বের একেক দেশের আইন ও রীতিনীতিতে পার্থক্য আছে। সমাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতেই চালু হয় নিয়মনীতি ও আইন-কানুন। দেশভেদে তাই আইনেও পার্থক্য দেখা যায়।
কোথাও যে কাজ সাধারণ, একই কাজ অন্য দেশে অপরাধ। যেমন- সুইডেনে সরকারের অনুমতি ব্যতীত ঘরে রং করা নিষিদ্ধ। আবার সুইজারল্যান্ডে রাত ১০টার পর টয়লেটে ফ্লাশ করা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে হান্টিং লাইসেন্স না থাকলে ঘরের ইঁদুর মারাও বেআইনি।
ঠিক একইভাবে এমন একটি দেশ আছে যেখানে স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণে সে সে দেশের অনেক পুরুষকেই জেলে যেতে হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পলিনেশিয়ান এলাকায় সামোয়া নামে একটি সুন্দর দ্বীপ আছে। সেখানেই চালু আছে এই আইন। স্বামী যদি স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যান তাহলেই তাকে যেতে হয় জেলে।

সামোয়ার আইন অনুযায়ী স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া একটি বড় অপরাধ। স্ত্রী যদি এই অপরাধেরি বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, তাহলে স্বামীকে লকআপে যেতে হতে পারে।

তবে প্রথমবার যদি কেউ তার স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যান তাহলে পুলিশ তাকে সতর্ক করে দেন, যাতে পরবর্তী সময়ে তিনি ওই ভুল না করেন। যদি ওই ব্যক্তি আবারও একই ভুল করেন তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় এতে জেলে আটকে রাখা হয়।
এ কারণে সামোয়ার স্বামীরা এ বিষয়ে অনেক সতর্ক থাকেন। তারা স্ত্রীকে সর্বোত্তম উপায়ে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। ফলে জন্মদিন ভুলে গেলেও অনেক স্বামীই ভালোবাসা দেখিয়ে স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে নেন।

তবে স্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো, উপহার দেওয়া, কেক কাটার ও ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করা স্বামীর প্রধান দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম।
দ্বীপ এলাকা সামোয়া পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় এক গন্তব্য। সমুদ্র ও চারপাশে পাহাড়ের সৌন্দর্য সবারই নজর কাড়ে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
জেএমএস/জেআইএম