পৃথিবীর অদ্ভুত কিছু জাদুঘর

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৫ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৭

একটি জাদুঘর সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি বহন করে। তবে প্রতিবেদনে প্রকাশিত জাদুঘরগুলো একটু ব্যতিক্রম। অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এগুলোর। আজ পৃথিবীর অদ্ভুত ছয়টি জাদুঘর সম্পর্কে জেনে নিন- 

অ্যাভানোস হেয়ার মিউজিয়াম

avanos

জাদুঘরটি তুরস্কের মফস্বল শহরে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১৬ হাজার নারীর চুলের সংগ্রহশালা। অ্যাভানোসের দক্ষ কুমার চে গালিপ তার স্টুডিওর নিচে এ জাদুঘর তৈরি করেন। বছরের জুন ও ডিসেম্বর মাসে যিনি প্রথম জাদুঘরে আসেন তাকে ১০ জন বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়। বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে ক্যাপাডোশাতে এক সপ্তাহের সব খরচ বহনসহ ফ্রিতে গালিপের ওয়ার্কশপ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

দ্য মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট

museum

১৯৯৩ সালে বোস্টনে বাজে, কুরুচিপূর্ণ ও দৃষ্টিকটু সব ছবি নিয়ে শুরু হয় এ জাদুঘরের পথচলা। যার ছবি যত খারাপ হবে, তার ছবিই ঠাঁই পাবে এখানে। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সবার মাঝে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। এছাড়াও তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে অবহিত করে হীন্মন্যতা কমিয়ে উৎসাহিত করাও এ জাদুঘরের উদ্দেশ্য।

মোমোফুকু আন্দো ইনস্ট্যান্ট রামেন মিউজিয়াম 

ramen

জাপানের ওসাকায় অবস্থিত রামেন নুডলসের এ জাদুঘর। এটি এক ধরনের কাপ নুডলস। আর এই কাপ নুডলস আবিষ্কার করেন মোমোফুকু আন্দো। আবিষ্কারক ও তার কাপ নুডুলসকে সম্মান জানাতেই জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে ঘুরতে আসা সবাই রামেন বানানোর কৌশল শিখতে পারেন।

সুলভ ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অব টয়লেট

toilet

টয়লেট দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় হয় দিল্লির এই জাদুঘরে। অদ্ভুত এই জাদুঘরে গেলে দেখতে পাবেন টয়লেট নিয়ে সাড়ে চার হাজার বছরের ইতিহাস। এখানে রয়েছে সাধারণ থেকে শুরু করে কারুকার্যমণ্ডিত সব টয়লেট। এমনকি ভিক্টোরিয়ান টয়লেটও আছে! এখানে সবচেয়ে অদ্ভুত একটি টয়লেট আছে- যেটা আসলে একটা বুক কেস। টয়লেটটি লুকিয়ে আছে বইয়ের তাকে!

আপসাইড ডাউন মিউজিয়াম

upside

জাদুঘরটি মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অবস্থিত। ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট তৈরি করা হয় এটি। জাদুঘরটিতে রয়েছে একেবারে ভিন্ন ধরনের চমক। একটি ফ্ল্যাটের কয়েকটি রুম নিয়ে সাজানো এই জাদুঘরে সবকিছুই উল্টা। আপনি একটি রুমের ভেতর হাঁটলে মনে হবে আপনি রুমের ছাদে হাঁটছেন। দেখতে ঘরের মতো হলেও এখানে রয়েছে ক্যাফে; যেখানে আপনি চাইলে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এছাড়াও এখানকার দোকানে কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। মজার ব্যাপার হলো- এই জিনিসগুলোও উল্টো! এখানে যাওয়ার পর আপনার সঙ্গে একজন স্টাফ থাকবেন, যিনি আপনাকে ছবি তুলে দেবেন।

কানকুন মেরিন পার্ক 

kankun

কানকুন মেরিন পার্ক নাম হলেও আসলে এটি একটি জাদুঘর। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১০ মিটার নিচে ৪০০টি ভাস্কর্যে নানা মানুষের প্রতিমূর্তি নিয়ে সাজানো এ জাদুঘর। মেক্সিকোর ক্যারিবিয়ান সমুদ্র সৈকতের কাছে ভাস্কর্যগুলো তৈরি করেছেন জেসন দ্য ক্লেয়ার্স টেইলর। মূলত এই জাদুঘরটি ‘লাইফকাস্টস’ প্রকল্পের প্রতিচ্ছবি। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো মাত্রাতিরিক্ত ভ্রমণকারীর সংখ্যা কমানো এবং নতুন করে বিলুপ্ত প্রায় প্রবাল-প্রাচীর গড়ে তোলা।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।