ভ্রমণ আনে মানসিক শান্তি

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৬ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৪

মাঝে মাঝে ভ্রমণ করা খুবই জরুরি। কারণ বেশিদিন একই জায়গায় অবস্থান করলে একঘেয়েমি আসতে পারে। বেশিদিন একই কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও কমে আসতে পারে। আর তখনই বিশ্রাম জরুরি। এ সময় নিরাপদ কোনো জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসা যায়। এতে মানসিক শান্তি ফিরে আসে।

ভ্রমণ মানেই শান্তি। সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে মন ভালো হয়ে যায়। কাজ নেই, ভাবতেই আনন্দ লাগে। গবেষকরা বলছেন, বেড়াতে যাওয়া শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মস্তিষ্ককে উন্নত করে। ভ্রমণে মনের ক্ষুধা মেটে। আমরা যতই প্রকৃতির কাছে যাই; ততই মন প্রশান্ত হয়।

নিরিবিলি স্থানে গেলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতে পারে। বনের গভীরে গেলে মস্তিষ্ক ভুলে যায় সব দুর্ভাবনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুড ভালো করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় অন্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। মজার ব্যাপার, যখনই এটি করবেন মস্তিষ্ক তালে তালে ঠিকই পুরোনো বিষয় ভুলে যাবে!

এ বিষয়ে কিছুসংখ্যক মানুষের ওপর পরীক্ষাও চালানো হয়েছে। তাদের বনের মধ্যে হাঁটতে মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকের মস্তিষ্কের প্রিফন্টাল কর্টেক্স পরীক্ষা করা হয়। মস্তিষ্কের এ এলাকা মানসিক রোগের জন্য দায়ী। দেখা যায়, সেখানে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা একটি স্বেচ্ছাসেবক দলকে শহরের বাইরে কিছুদিন অবস্থানের জন্য পাঠান। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখতে। ফিরে আসার পর তাদের বেশকিছু জটিল এবং সৃজনশীল কাজ করতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, তাদের সৃজনশীল ভাবনার ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

মনকে সব সময় প্রফুল্ল রাখতে এবং জীবনের সব জটিলতা ভুলতে সময় পেলেই ভ্রমণ করা খুবই জরুরি। তাই সব সমস্যা থেকে দূরে পালিয়ে যান কিছুদিনের জন্য। অন্তত ১ দিন মস্তিষ্ককে আরামে রাখুন। মস্তিষ্ক আপনাকে কয়েকগুণ বেশি কাজ করার ক্ষমতা দেবে।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।