চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তোলার গুরুত্বারোপ
চতুর্থ শিল্প হবে একটি আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প বিপ্লব। পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলেও বর্তমান বিশ্ব এ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সাধিত হলে কায়িক শ্রম অনেকাংশে কমে যাবে। শিল্পের উৎপাদনে মানুষের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। স্বাভাবিক কাজ হারাবে সমাজের বড় একটি অংশ। মানুষ পেশা পাল্টাতে বাধ্য হবে। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য জাফর আলম এসব কথা বলেন।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম হাতিয়ার হবে তথ্য। যার কাছে যত বেশি তথ্য থাকবে, তার অবস্থান তত বেশি মজবুত হবে। এজন্য তথ্যের নিরাপত্তা বিধান জরুরি। বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের কাজকে আরও সহজতর করে দিচ্ছে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল ও গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণাগার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সেমিনারে অংশ নেন মাদার স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাস্টার আবুল কাসেম, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সেলিনা আকতার, মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শিরীন আকতার, চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তর অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলমের লেখা ‘মননে পরিবেশ, যাপনে পরিবেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি জাফর আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে মুফিদুল আলম বলেন, আমি শব্দ দূষণ নিয়ে হাইড্রোলিক হর্নবিরোধী অভিযান চালানোর সময় চট্টগ্রামে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হাইড্রোলিক হর্ন পাই। এসব হর্ন খুলে নিতে গেলে বাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিরোধিতা করেন। আবার অনেক শিক্ষক এসে বাস থেকে খুলে নেওয়া হাইড্রোলিক হর্ন আভিযানিক টিম থেকে নিয়ে যেতে উদগ্রীব হন।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। আবার চট্টগ্রামের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করেই পাহাড় কাটছেন। তাদের শুনানিতে ডাকা হলে অনেকটা সরকারি ক্ষতিপূরণ ব্যতি রেখেই পাহাড় কাটার অভিযোগ থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা করেন। তারা পাহাড় কাটার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এসব চিত্র আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য নেতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইকবাল হোসেন/এমআরএম/এএসএম