আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৩

আউশ ধানের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে সাড়া ফেলেছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। এ মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে বাম্পার ফলনও পেয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করলে একই জমিতে বছরে তিন বার চাষ করা যায়। অন্যদিকে এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি সেচ ও সারের ব্যবহার কম হওয়ায় খরচ কমিয়ে আনা যায় অর্ধেকে। যে কারণে বেশি লাভবান হয়েছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। তার সফলতা দেখে ওই এলাকার অনেকেই এখন আউশের মৌসুমে বোর ধানের চাষ শুরু করেছেন।

কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে সারাদেশেই এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আউশের মৌসুমে ৪ বছর আগে নিজের ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বোরো ধানের চায়না গোল্ডেন-১ ও দেশীয় ২৮, ২৯ ধান চাষ শুরু করি। আবাদের প্রথম বছরই ব্যাপক সফলতা পাই। এরপর থেকে প্রতি বছরই আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ করছি।’

আরও পড়ুন: ধান রোপণে কম খরচে কৃষকের স্বস্তি

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ৬ বিঘা (১৯৮ শতাংশ) জমিতে দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ চাষ করেছি। আউশের মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের ফলন হয় অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে সেচের পানি আর সারের ব্যবহার কম হওয়ায় ধান চাষে তুলনামূলক খরচের পরিমাণ নেমে আসে অর্ধেকে। এ পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে তিনবার ধান চাষ করে বেশি লাভবান হয়েছি। সারাদেশে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষক বেশি লাভবান হবেন। খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।’

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘আউশ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। এক জমিতে বছরে তিনবার ফলন পেয়েছেন তিনি। তার দেখাদেখি আমরাও এখন দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ ধান চাষ করছি। ফলনও খুব ভালো হচ্ছে।’

স্থানীয় কৃষক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘ডা. শফিকুলের পরামর্শে গেল আউশ মৌসুমে ৪ পাখি (১২০ শতাংশ) জমিতে দেশীয় হাইব্রিড গোল্ডেন-১ ধান চাষ করেছিলাম। পাখি প্রতি ৩০ মণ করে ধান পেয়েছি। এছাড়া বছরে একই জমিতে তিনবার ধান চাষ করা গেছে। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছি। আশা করছি গেল বছরের মতো এবারও ভালো ফলন পাবো।’

আরও পড়ুন: শার্শায় রোপা আমন চাষ নিয়ে চিন্তায় কৃষকেরা

মধুপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘আউশ মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন ডা. শফিকুল ইসলাম। তার দেখাদেখি বেশ কয়েকজন কৃষকও এ ধান আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। অন্য জাতের ধানের ফলনের চেয়ে এ জাতের ধানের ফলন বেশি হয়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, ‘আউশ মৌসুমে কোন জাতের ধান রোপণ করে সাড়া ফেললেন ডা. শফিকুল ইসলাম। সে তথ্য নিতে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

আরিফ উর রহমান টগর/এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।