বিশ্বকাপে জাহানারাদের লক্ষ্য র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি


প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দ্বিতীয়বারেরমত বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথমবার গত আসরে সালমা-জাহানারারা খেলেছিল স্বাগতিক হিসেবে। এবার আর কোন সুবিধা নিয়ে নয়, সরাসরি বাছাই পর্ব উৎরে, যোগ্যতা অর্জণ করেই ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের মত আসরে খেলতে যাওয়ার আগে কিন্তু অনেক বড় স্বপ্ন কিংবা প্রত্যাশা বাংলাদেশের মানুষকে দেখাতে চান না নারী দলের অধিনায়ক জাহানারা আলম। নিজেদের দিকেই তাকাতে চান তিনি। এ কারণে সম্ভব লক্ষ্যটাকেই সামনে রেখে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন তারা। মূল লক্ষ্যটা কী তাহলে? র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি।

আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে নারী দলের অধিনায়ক জাহানারা আলম লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথমবার আমরা বিশ্বকাপে খেলেছিলাম আয়োজক হিসেবে। এবার খেলবো নিজস্ব যোগ্যতায় দিয়ে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছি। আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। আমাদের লক্ষ্য র‌্যাংকিংয়ে সাত-আটের মধ্যে থাকা। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো।’ উল্লেখ্য, আইসিসি নারী ক্রিকেটের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৯ম স্থানে।

Women-Cricket-team

নারী ক্রিকেটে আইসিসি কর্তৃক এফটিপি তৈরীতে র‌্যাংকিং বড় একটা অবদান রাখে। যত বেশি খেলা যায় তত উন্নতি। ফলে, উন্নতি করতে হলে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করা সবার আগে প্রয়োজন। এ বিষয়টাতেই বেশি জোর দিচ্ছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। র‌্যাংকিং বাড়াতে পারলে এফটিপিতে অটোমেটিক ম্যাচের সংখ্যাও বাড়বে। বেশি খেলতে পারলে বেশি অভিজ্ঞতা হবে। তখন সামনে আরও বড় লক্ষ্য সেট করা যাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা যেহেতু র‌্যাংকিংয়ে আটের মধ্যে নেই। এজন্য আইসিসি অধীনে আমরা সেভাবে ম্যাচ পাই না। বিসিবি অনেক চেষ্টা করেছে ম্যাচ আয়োজন করার জন্য। অন্য দেশগুলো নিজেদের সঙ্গেই সম্পৃক্ত হয়ে আছে। যে কারণে আমাদের কিছুই করার নেই। এজন্য আমাদের লক্ষ্য নিজেদের র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করে আইসিসির অধীনে ম্যাচ খেলার! আমরা আশা করি, আমাদের যে উন্নতি হয়েছে ওটা বিশ্বকাপে দেখাতে পারবো।’

বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ খেলার খুবই কম সুযোগ পেয়েছে সালমা-জাহানারারা। বিষয়টা কেমন প্রভাব ফেলবে বিশ্বকাপে? জবাবে অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ খেললে উন্নতি হওয়ার অনেক সুযোগ থাকে। এটাকে আমি ঘাটতি বলবো না।শুধুমাত্র অনুশীলনে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবু আমার যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, সেটা অনেক ভালো। তারপরও নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ এবং বিশ্বকাপের আগে আইসিসির অনুশীলন ম্যাচগুলো খেলবো। বিশ্বকাপের আগে দুটি অনুশীলন ম্যাচ আছে আমাদের। আশা করছি বিশ্বকাপের আগে এটা যথেষ্ট।’

Women-Cricket-team

বিশ্বকাপের আগে নিজেদেরকে নির্ভার ভাবছেন কি না? জানতে চাইলে জাহানারা আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরো ক্রিকেট দলকে নিয়েই। আলাদা পুরুষ কিংবা মহিলা বলে কথা নয়। ক্রিকেট দল এটাই আসল কথা। বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করে পুরুষ দল আর নারী দল ভালো একটা রেজাল্ট করুক। আমাদের কাছে সবার প্রত্যাশা হয়তো একটাই। ভালো ক্রিকেট খেলে আসি, ভালো কিছু যেন অর্জন করে নিয়ে আসি। আমাদের বিশ্বাস, আমরা এবার অনেক ভালো ক্রিকেট খেলবো এবং অনেক ভালো কিছু অর্জন করবো।’

আগে তো ছিলেন  শুধুই একজন ক্রিকেটার। এবার জাহানারা আলম একজন অধিনায়ক। বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে জাহানারা বলেন, ‘অবশ্যেই অনেক ভালো অনুভূতি। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতাম একজন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার একজন অধিনায়ক হিসেবে করতে যাচ্ছি। তারপরও আমি বলবো, আলাদা করে আমার অতিরিক্ত কোন চাপ নেই। আমাদের দলে বেশিরভাগ সিনিয়র খেলোয়াড়। যারা একেকজন প্রত্যেকে অধিনায়ক। সঠিক সময় সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে হয়। এটার জন্যই আমি। আমার দলের সবাই অনেক হেল্পফুল, সবাই খুব সাহায্য করে আসছে, আশা করি ভবিষ্যতেও করবে। আমি সবার সাপোর্টটা পাবো।’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।