বিএসএমএমইউতে বিনামূল্যে গ্লুকোমা স্ক্রিনিং ক্যাম্প


প্রকাশিত: ০৭:০২ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৬

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগে বিনামূল্যের গ্লুকোমা স্ক্রিনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বুধবার সকালে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন,  জন্মগত ত্রুটি,  জেনেটিক, আঘাতজনিত, বয়সজনিত কারণে চোখের কিছু পরিবর্তন, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার ইত্যাদি কারণে এ রোগটি হয়ে থাকে।

ভিসি বলেন, উপসর্গহীন হওয়ায় চোখের পরীক্ষা ছাড়া এ রোগটি মানুষ ঝুঝতে পারেন না। শুরুতে চিহ্নিত হলে গ্লুকোমা চিকিৎসায় ভালো হয় বলেও জানান তিনি।

গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আরিফ মিয়া ও বিএসএমএমইউ’র চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন খান জানান, অনিরাময়যোগ্য অন্ধত্বের প্রধান কারণ হলো গ্লুকোমা। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং অন্ধত্বের হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। গ্লুকোমা যে কোন বয়সে হলেও ৪০ বছরের পরে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বেই গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে এ রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশ্বের অর্ধেক সংখ্যক রোগী এশিয়া মহাদেশের। বিএসএমএমইউসহ দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ রোগের পরীক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অর্থোডনটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গাজী শামীম হাসান, গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আরিফ মিয়া, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. নাজমুল করিম মানিক, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন খান, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ছানোয়ার হোসেনসহ চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।।

এমইউ/এমএমজেড/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।