রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:৪১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি- সংগৃহীত

ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকার তুহিন ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।

ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. সিফাত সিফাতুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা বরগুনা জেলার বামনা থানার ছনবুনিয়া গ্রামে। উদ্ধারের পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

একই ছাত্রাবাসে থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সিফাত বেশকিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এ কারণেই হয়ত আত্মহত্যা করেছেন।

সিফাতের সহপাঠী হাসিব চৌধুরী বলেন, সিফাত কিছুদিন ধরে নিয়ে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। কিন্তু আমাদের কারও সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু শেয়ার করেনি। তিনি খুবই ভালো একটি ছেলে। নিয়মিত ধর্মচর্চা করেন। সিফাতের আকস্মিক মৃত্যুর খবর কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমাদের এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি ছাত্রাবাসে তার নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে তার রুমমেট আমাকে পৌনে ৬টার দিকে কল করে। ঘটনা শোনামাত্র আমি থানা পুলিশকে কল করি এবং সেখানে গিয়ে দেখি গলায় গামছা পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। তখন পুলিশ নামিয়ে দেখে ইতোমধ্যে মারা গেছে।

মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বন্ধুবান্ধব ও ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি সে খুবই ডিপ্রেশনে ছিল। তার রুমমেট যখন বাইরে গিয়েছিল তখন সে আত্মহত্যা করে।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান (ওসি) বলেন, তারা ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মনির হোসেন মাহিন/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।