চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চারুকলা স্থানান্তরের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা অনশনে ৯ শিক্ষার্থী

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে টানা ২৪ ঘণ্টা অনশনে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে অনশনরত তারা।
এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিট থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের এ ৯ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন, ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২০১৯-২০ সেশনের নূর ইকবাল সানি, ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই সেশনের শিক্ষার্থী মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ২০২৩-২৪ সেশনের তরিকুল ইসলাম মাহী ও একই সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ।
তারা জানান, অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন প্রশাসন গত ১৩ ডিসেম্বর প্রতিশ্রুতি দেয় ২০২৫ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হবে। শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত ছিলেন মূল ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন চলে গেলেও প্রশাসন তার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেনি। ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হয়নি কোনো সিন্ডিকেট মিটিং বা প্রজ্ঞাপন জারি। স্থানান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
২১ এপ্রিল (সোমবার) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে চারুকলার শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচি থেকে কয়েক দফা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করলেও কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। প্রশাসন সমাবর্তন পর্যন্ত সময় চাচ্ছে। কিন্তু নতুন কোনো আশ্বাসে বিশ্বাস করতে না পেরে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিকেল ৩টা ২০ থেকে অনশনের ঘোষণা দেন।
অনশনরত শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছি। প্রশাসনের অনেকে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ‘একাডেমিক কাউন্সিলে সবকিছু পাশ হয়ে গেছে। এখন শুধু সিন্ডিকেট সভায় পাস হওয়া বাকি। আগামী ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। সে জন্য আগামী ২৪ মে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। সে পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিতে হবে। আশাকরি শিগগির চারুকলার শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারবেন।’
আহমেদ জুনাইদ/আরএইচ/এএসএম