শহীদ সাব্বিরের মা

প্রতিদিন অনেকেই আসে দেখা করতে, খালি আমার মনিই আসে না

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইবি
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহের শহীদ সাব্বির হোসেনের মায়ের সঙ্গে দেখা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা

“সেদিন দুপুরে আমার এমনি এমনি কান্না আসছিল। আমি তো জানতে পারছিলাম না আমার মনি ওইসময় দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে। বিকালের দিকে একজন আসি আমাক কইলো, ‘সাব্বিরের মা, তোমার সাব্বির তো পুলিশের গুলিত মারা গেছে”। তখন আমারতো দুনিয়াই থেমে গেলো।”

সন্তানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কথাগুলো বলছিলেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাব্বিরের মা রাশিদা খাতুন।

বুধবার (২ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাব্বির হোসেনের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তারা শহীদের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

এসময় সাব্বিরের মা রাশিদা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘প্রতিদিন অনেকেই আসে দেখা করতে, খালি আমার মনিই আসে না’।

প্রতিদিন অনেকেই আসে দেখা করতে, খালি আমার মনিই আসে না

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, তানভির মণ্ডল ও গোলাম রাব্বানীসহ অন্য নেতাকর্মীরা।

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘শহীদ সাব্বির আমাদের আন্দোলনের প্রতীক। বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে তিনি জীবন দিয়েছেন। আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লড়াই চালিয়ে যাবো। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এই দায় শুধু আমাদের না, পুরো জাতির। আমরা তার পরিবারের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।’

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সাব্বির হোসেন। ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় আজমপুরে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার চড়িয়ারবিল এলাকায়। তার বাবার নাম আমোদ আলী।

ইরফান উল্লাহ/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।