র‌্যাগিং

সিভাসুর ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ২ জনের ছাত্রত্ব বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৮ এএম, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত এবং র‌্যাগিংয়ের দায়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ১৯ শিক্ষার্থীকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯ জুন বিকেলে সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ১৩তম সভায় শৃঙ্খলাভঙ্গের মাত্রা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় একই অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মাহফুজ হাসান আকাশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা, মো. জাবেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা এবং রশিদ শাবাব শুভ, তানজিম সিয়াম ইকবাল ও মেহেদী হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সভায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন ভর্তিকৃত আটজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে শৃঙ্খলাবিরোধী র‌্যাগিং এবং তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শিহাবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দশ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা, সাজেদ-উল-ইসলাম সিফাতকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা এবং শাহেদুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই ঘটনায় ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত উল্ল্যাহ জিলান, মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, আসিফ আল হাসান, ইলিয়াস আল জাবের, তাইদুল ইসলাম তপু, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, নাজমুস সাদাত তৌহিদ, আবুল হাসান ফাহাত, শাহরুখ খান ও বেলাল হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়।

এছাড়া ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল জান্নাহ ওয়াসীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আজীবনের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

এর আগে, ২০২৩ সালের শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার দুটি ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের মাস্টার্সবর্ষের শিক্ষার্থী অভিষেক নন্দী ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম রানার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়। পরে তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হলেও তারা জবাব দেননি।

গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ১১তম সভায় অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয় এবং তারা ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর কোনো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।